◆সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব দেবেন্দ্রনাথ দাস। সঙ্গে আছে রাজ্য সাঁতার সংস্থার সভাপতি রামানুজ মুখার্জি,বিওএ – সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি, সচিব জহর দাস। সোমবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : কোভিডের কারণে গত ৩ বছর বন্ধ ছিল। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে আবার স্বমহিমায় ফিরছে মুর্শিদাবাদ জেলার ঐতিহ্যবাহী দীর্ঘতম সাঁতার প্রতিযোগিতা। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ভাগীরথীতে নামার অপেক্ষায় দেশি-বিদেশির সাঁতারুরা।
মুর্শিদাবাদের কাঁসা-পিতল, মুর্শিদাবাদ সিল্ক শাড়ির মতোই এই জেলার দীর্ঘ সাঁতার প্রতিযোগিতাও ঐতিহ্যের। অতীতে এই প্রতিযোগিতায় নেমেই ইংলিশ চ্যানেলের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বুলা চৌধুরী, সায়নী দাসরা। ভারত স্বাধীন হওয়ার দুই বছর আগে এই জেলায় গঙ্গাবক্ষে শুরু হয়েছিল ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতা। সেই ট্র্যাডিশন এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। বিশ্বে ইংলিশ চ্যানেল,পক প্রণালীর মতো বড় বড় একাধিক সাঁতারের ব্যক্তিগত ইভেন্ট আছে ঠিকই কিন্তু মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ৮১ কিলোমিটারের মতো সাঁতার প্রতিযোগিতা কোথাও হয় বলে জানা যায়নি।
এবছর ৮১ কিলোমিটার সাঁতারে মোট প্রতিযোগীর সংখ্যা ২৪ জন। তার মধ্যে মহিলা প্রতিযোগীর সংখ্যা চার। এই বিভাগে মালয়েশিয়ার ৩, স্পেনের ২, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডের এক জন করে সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। বাংলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সাঁতারুরাও অংশ নিচ্ছেন।
৩ সেপ্টেম্বর ভোরে জঙ্গিপুরের আহিরন ঘাট থেকে শুরু হবে ৮১ কিলোমিটার সাঁতার। শেষ হবে বহরমপুরের গোরাবাজারের কৃষ্ণনাথ কলেজ ঘাটে। একই দিনে জিয়াগঞ্জ ঘাট থেকে ১৯ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতা হবে। জিয়াগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে গোরাবাজার কৃষ্ণনাথ কলেজ ঘাটে। এই ১৯ কিলোমিটার প্রতিযোগিতার পুরুষ বিভাগে মোট ৩১ জন সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। মহিলা বিভাগে আছেন ১৬ জন সাঁতারু।
সোমবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই প্রতিযোগিতার বিষয়ে আলোকপাত করেন মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব দেবেন্দ্রনাথ দাস। তিনি বলেন,”কোভিডের কারণে গত তিন বছর আমরা এই ঐতিহ্যবাহী সাঁতার প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারিনি। আমরা এবার নতুন করে ফের শুরু করছি। বিভিন্ন দেশের বেশ কিছু সাঁতারু ৮১ কিলোমিটারে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সবাইকে আমরা নিতে পারিনি। এবছর আমরা প্রতিযোগীদের জন্য বিশেষ ভাবে মেডিকেল ব্যবস্থার উপর বেশি করে জোর দিয়েছি। আশাকরছি সুষ্ঠুভাবেই প্রতিযোগিতা শেষ করতে পারব।”
এদিন, সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সাঁতার সংস্থার সভাপতি রামানুজ মুখার্জি, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সচিব স্বপন ব্যানার্জি ও জহর দাস। ৮১ ও ১৯ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতার বাজেট হল ২৫ লক্ষ টাকা।