ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : স্বপ্ন সত্যি হল নৈহাটির মেয়ে সুতীর্থা মুখার্জির। ভারতীয় টেবল টেনিসের এক নম্বরে থাকা মনিকা বাত্রাকে হারিয়ে আসন্ন টোকিও অলিম্পিকের ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন সুতীর্থা। ক্রমতালিকায় ভারতের দুই নম্বরে থাকা সুতীর্থার অলিম্পিকে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হল।
দোহায় এশিয়ান অলিম্পিক কোয়ালিফিকেশন প্রতিযোগিতায় এদিন সুতীর্থা ৭-১১, ১১-৭, ১১-৪, ৪-১১, ১১-৫, ১১-৪ ফলে হারান মণিকা বাত্রাকে। মহিলাদের সিঙ্গলসে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রুপ থেকে শুধু মাত্র বিশ্বের ৬২ নম্বর মণিকা এবং ৯৫ নম্বর সুতীর্থা যোগ্যতা অর্জন পর্বে ছিলেন, এই ম্যাচে যিনি জিতবেন, তিনিই টোকিও অলিম্পিকের টিকিট পাবেন। এমন চাপ নিয়ে দেশের এক নম্বর মনিকার বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছিলেন। সব চাপকে উড়িয়ে শেষ হাসি হাসলেন সুতীর্থাই
সুতীর্থার কাছে হেরে গেলেও অলিম্পিকে যাওয়ার এখনও সুযোগ আছে মনিকা বাত্রার। তবে জেলার মেয়ে অলিম্পিকে যাচ্ছেন, স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার ক্রীড়া জগতে খুশির হাওয়া।
সুতীর্থা বাঙালি মেয়ে হলেও দেড় বছর আগে বাংলা ছেড়ে হরিয়ানার হয়ে খেলেন। বাংলার টেবল টেনিস সংস্থার উপর অভিমান করেই বাংলা ছেড়েছিলেন সুতীর্থা। এদিকে, বাংলার টেবল টেনিস জগতে সাফল্য আটকে আছে। শেষ ন্যাশনাল টুর্নামেন্টে বাংলা পুরোপুরি ব্যার্থ। এর মাঝে হরিয়ানার হয়ে নামলেও বাংলার টেবল টেনিসে বড় মুখ এখন সেই সুতীর্থা।
সুতীর্থার আগে টোকিও অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করেন শরৎ কমল। তিনি পাকিস্তানের রামিজ মহম্মদকে হারিয়ে এবারের অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
তিনি সহজেই জেতেন। মাত্র ২৩ মিনিটে ১১-৪, ১১-১, ১১-৫, ১১-৪ ফলে হারান রামিজকে। এই নিয়ে চতুর্থ বার অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করলেন শরৎ।