◆সন্দীপ দে◆
▪খোলা মাঠে অথবা অনুশীলন ম্যাচে ফুটবলারটি দুর্দান্ত খেলছে। কিন্তু হাজার হাজার দর্শকের সামনে স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে চূড়ান্ত ব্যর্থ হতে হচ্ছে। প্রতিভা থাকা সত্বেও কেন এমনটা হচ্ছে? সংশ্লিষ্ট ফুটবলারটি পারপরমেন্স অ্যাংজাইটি থেকেই কি এক্সিকিউসনটা হয় না? এই প্রশ্নের উত্তরও অনায়াসে পাওয়া যাবে যদি সেই ফুটবলারটিকে ক্রীড়া বিজ্ঞান মেনে পরীক্ষাগারে ঠিক ভাবে পরীক্ষা করা হয়।
▪কম বয়সী ফুটবলারদের ট্রেনিংয়ের শুরুটা চমৎকার হল। কিন্তু তিন মাস বা ছয় মাস পর দেখা গেল হঠাৎ চোট পেয়ে যাচ্ছে,শরীর স্লথ হয়ে পড়ছে। ছোট ছোট সব ছেলে-মেয়েরা (বয়স ভিত্তিক) সমান ভাবে এক ধরনের ট্রেনিং নিতে পারছে না। খেলোয়াড়ের শারীরিক গঠন কেমন, তার পরীক্ষা করে তারপর ট্রেনিং সিডিউল তৈরি করতে হবে কোচকে।
▪একজন ফুটবলারকে কোচ ৯০ মিনিট ম্যাচ খেলিয়ে যাচ্ছেন অথচ সেই ফুটবলারটি ৭০ মিনিটের ফুটবল খেলার ক্ষমতা আছে। ট্রেনিংয়ের সময় যদি ফুটবলারদের এনডুওর্যান্স ক্যাপাসিটি কত,সেটাও পরীক্ষা করা যায়। তাছাড়া অনেক ধরনের প্যারামিটার অ্যাসেসমেন্ট করা হয়। সেই রিপোর্ট নিয়ে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কে মাঠে ব্যবহার করা যায়।
যে কোনও খেলা চর্চার আগে খেলোয়াড়ের শরীর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকাটা খুব জরুরি। তার জন্য স্পোর্টস সায়েন্স অর্থাৎ ক্রীড়া বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গিয়েছে। কোনও ছেলে বা মেয়ে কোন ধরনের খেলায় সে ফিট তার একটা দিশা দিতে পারে ক্রীড়া বিজ্ঞানের পরীক্ষাগার। বিদেশে, ছেলে-মেয়েদের এভাবেই অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।
অভিভাবক,কোচ,কর্তা এবং অবশ্যই খেলোয়াড় – এই সুবিধা পেতে পারেন বেলুর মঠের রামকৃষ্ণ মিশন ইউনিভার্সিটির আত্মা বিকাশ ভবনে। অতীতে পশ্চিমবঙ্গের বুকে ক্রীড়া বিজ্ঞানের এমন উন্নতমানের পরীক্ষাগার ছিল না। এবার সেটাই করে দেখাচ্ছে বেলুর মঠ কর্তৃপক্ষ।
অনেক আগেই ক্রীড়া বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়ানো শুরু হয় কলকাতা ইউনিভার্সিটিতে। জানা যায়, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর দেশের চারটি অঞ্চলে ক্রীড়া বিজ্ঞান বিষয় পড়ানোর জন্য ২৫ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ইউনিভার্সিটি সেই সুযোগ পেয়েছে কয়েক বছর আগেই। কিন্তু তার আগে শহর কলকাতায় ক্রীড়া বিজ্ঞানের সঙ্গে খেলোয়াড়দের উন্নতমানের শরীর পরীক্ষা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন চিকিৎসক শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত,গুরুদাস কলেজের প্রিন্সিপাল রূপায়ন ভট্টাচার্য,অধ্যাপক শুভঙ্কর ঘোষ (বর্তমানে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ফিজিক্স বিভাগীয় প্রধান)। তাঁরা চেয়েছিলেন ক্রীড়া বিজ্ঞানের উপর পশ্চিমবঙ্গে ব্যাচেলার্স ডিগ্রি শুরু হোক। এই চিন্তাভাবনা নিয়েই এঁরা উদ্যোগী হয়েছিলেন। সম্ভবত ২০০৭ সালে কলকাতা ইউনিভার্সিটির তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর সুরঞ্জন দাস শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, রূপায়ন ভট্টাচার্য,শুভঙ্কর ঘোষদের প্রস্তাবে খুশি হয়ে মান্যতা দিয়েছিলেন। তাঁরা প্রথমে শুরু করেছিলেন বেলেঘাটার গুরুদাস কলেজে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রুপায়ন ভট্টাচার্য ওই সময় গুরুদাস কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে (তখন বামফ্রন্টের জমানা) গুরুদাস কলেজে ক্রীড়া বিজ্ঞান নিয়ে ব্যাচলার্স ডিগ্রি শুরু করা গেল না। সূত্রের খবর,ওই সময় এই কোর্স চালু করার বিরোধীতা করে গিয়েছিলেন বাম নেতা ও অধ্যাপক শান্তনু বোস। মূলত কমরেড শান্তনুবাবুর (এখন নাকি তিনি দল পাল্টে ফেলেছেন) জন্যই ক্রীড়া বিজ্ঞানের কোর্স শুরু করা যায়নি বলে অভিযোগ উঠছে। পরবর্তীকালে এই কোর্স করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন কিন্তু সেই ভাবে সহযোগিতা পাননি তাঁরা। পরে একদিন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে যোগাযোগ করেন রূপায়নবাবু,শান্তিবাবুরা। সেখান থেকে তাঁদের পাঠানো হয় বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশনে। তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর মহারাজ আত্মপ্রিয়ানন্দ এই ক্রীড়া বিজ্ঞান ও যোগা কোর্সকে সাদরে গ্রহণ করেন। প্রথমে এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স শুরু হয়। পরবর্তীকালে এই বেলুর মঠের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ইউনিভার্সিটিতে ক্রীড়া বিজ্ঞান ও যোগার উপরে মাস্টার ইন স্পোর্টস সায়েন্স থেকে পিএইচ ডি স্তর পর্যন্ত পড়ানো হয়।
বেলুড় মঠের ক্রীড়া বিজ্ঞান ও যোগা বিভাগের পরীক্ষাগারে যে সব উন্নতমানের যন্ত্রপাতি আছি তা কলকাতা ইউনিভার্সিটিতেও নেই বলে জানা যাচ্ছে।
বেলুর মঠের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ইউনিভার্সিটির ক্রীড়া বিজ্ঞান ও যোগা বিভাগের কো-অর্ডিনেটর মৃন্ময় মহারাজ ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে বলছিলেন, “আমরা গত চার বছর আগে ক্রীড়া বিজ্ঞান ও যোগা বিভাগ খুব ভাল ভাবেই শুরু করেছি। করোনার জন্য দুটি বছর নষ্ট হলেও গত এক বছরে আমাদের পরীক্ষাগার ঢেলে সাজানো হয়েছে। ক্রীড়া বিজ্ঞানের উপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগার তৈরি হয়েছে। এগুলি হল,১) এক্সারসাইজ ফিজিওলজি, ২) স্ট্রেংথ কন্ডিশনিং ও ৩) বায়ো মেকানিকস। এই তিনটি পরীক্ষাগারে অত্যাধনিক যন্ত্রপাতি আছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার ও রবিবার – এই দুই দিন ধরে ক্রীড়া বিজ্ঞান ও যোগা বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ওয়ার্কশপ ও সেমিনার হয়ে গেল বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকাননদ ইউনিভার্সিটিতে। কলকাতা ও কল্যাণী ইউনিভার্সাটির ছাত্র-ছাত্রীরাও এই ওয়ার্কশপে যোগ দিয়েছিলেন। গোয়ালিয়র থেকে এসেছিলেন দেশের বিখ্যাত ও প্রাচীন লক্ষ্মীবাই ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন সংস্থার রেজিস্টার অরবিন্দ সিং সাজোয়ান। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্কশপ সচক্ষে দেখতে হাজির ছিলেন আইএফএ-এর প্রেসিডেন্ট অজিত ব্যানার্জি, রাজ্য সরকারের ইয়ুথ অ্যান্ড স্পোর্টস বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি জয়দীপ দাস, বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমির প্রধান কোচ অনন্ত ঘোষ এবং অবশ্যই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা ও চিকিৎসক শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত।
শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বলছিলেন,”কথায় কথায় আমরা বিদেশিদে ডেকে আনি। অধিকাংশ ক্লাব, অ্যাসোসিয়েশনের দলে ক্রীড়া বিজ্ঞান নিয়ে যারা কাজ করছে সেখানে বিদেশিদের ভিড়। সুযোগ সুবিধা থাকলে আমাদের বাংলার ছেলেরাও কিন্তু পারে। সেক্ষেত্রে বেলুড় মঠ বাঙালিদের সামনে দারুন সুযোগ এনে দিয়েছে। এখন ফুটবল, ক্রিকেট টেনিস থেকে শুরু করে কবাডি, হকি,ব্যাডমিন্টন – সব জায়গায় কর্পোরটের সংস্থা এসে গিয়েছে। তারা এখন স্পোর্টস সায়েন্সকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আগামী কয়েক বছরে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে। মেন স্ট্রিমের বাইরে গিয়েও স্পোর্টস সায়েন্স নিয়ে পড়লে চাকরি হবে আমি নিশ্চিত। খোঁছ নিলে দেখবেন,বিভিন্ন রাজ্যের অনেক ছাত্র-ছাত্রী আজ বিদেশে স্পোর্টস সায়েন্স নিয়ে পড়তে যাচ্ছে। বাংলায় যখন এই সুযোগ তৈরি হয়েছে তখন সেই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত। বেলুর মঠে যে ভাবে পড়ানো হচ্ছে আর যে ভাবে উন্নত মানের যন্ত্রপাতি এনে পরীক্ষাগার তৈরি হয়েছে তা বাংলার গর্ব। পশ্চিমবঙ্গের আর কোথাও এত ভাল পরীক্ষাগার নেই।”
বেলুর মঠের ওয়ার্কশপে এসে মুগ্ধ বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমির প্রধান কোচ অনন্ত ঘোষ। তিনি বলছিলেন,”খেলোয়াড়দের তৈরি করার ক্ষেত্রে এই ধরনের শিক্ষার খুব প্রয়োজন ছিল।”
আইএফএ-এর সভাপতি অজিত ব্যানার্জি এতটাই মুগ্ধ যে তিনি বেলুর মঠের এই ক্রীড়া বিজ্ঞানের পরীক্ষাগারে প্রায় এক ঘন্টা সময় কাটালেন। পরীক্ষাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন কি ভাবে,কোন কোন পরিস্থিতিতে খোলোয়াড়দের শরীর পরীক্ষা করা হয়। অজিতবাবু সেই আধিকারিককে অনুরোধ করলেন,কলকাতার কোনও ফুটবল ক্লাব তাদের ফুটবলারদের যদি যাবতীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেন। অনেক ক্লাব আছে যাদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তাদের জন্য কম খরচে পরীক্ষা করার অনুরোধ করেন অজিত ব্যানার্জি। এই ব্যাপারে মহারাজ মৃন্ময় বলেন,”যারা এখন খেলছে অর্থাৎ পারফরমিং স্পোর্টস পারসন আমাদের এখানে এলে তাদের টাকা পয়সা নিয়ে খুব একটা সমস্যা হবে না। পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে কনজিউবল বলে যেটা ব্যবহার হবে সেটার খরচ সামান্য। এছাড়া আর কোনও ফি নেওয়া হবে না। বর্তমান খেলোয়াড়রা আমাদের এখানে আসুন। সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা করিয়ে যান। ফিজিওলজি,সাইকোলজি,স্ট্রেংথে খেলোয়াড়দের অ্যাসেসমেন্ট করে ইনপুট আমরা দিতে পারব। এই অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট দেখে সেই মতো খেলোয়াড়রা ট্রেনিং করতে পারবে।”
অজিত ব্যানার্জি ‘ইনসাইড স্পোর্টস’-কে বলছিলেন,”এখানে ক্রীড়া বিজ্ঞান নিয়ে এত ভাল সুযোগ সুবিধা আছে না এলে জানতেই পারতাম না। খেলা শুরু করার আগে একজন খেলোয়াড়ের কাছে ক্রীড়া বিজ্ঞান,পরিক্ষা-নিরীক্ষা হল প্রাথমিক শর্ত। ভাল লাগছে আমাদের বাংলায় এমন সুন্দর সুযোগ-সুবিধা আছে। এখানকার কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলেছি। আমার একটা পরিকল্পনা আছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,ইতিমধ্যে কলকাতা রোয়িং ক্লাব নিজেদের খেলোয়াড়দের যাবতীয় পরীক্ষা করানোর জন্য বেলুর মঠ কর্তৃপক্ষর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন,”তুমি গীতা পড়ার থেকে ফুটবলের মাধ্যমে স্বর্গের অনেক বেশি কাছাকাছি যেতে পারবে।” তাঁর ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে বেলুড়মঠের রামকৃষ্ণ মিশন ক্রীড়া বিজ্ঞান ও যোগাকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। মহারাজ মৃন্ময়ের কাছে জানা গেল,তাদের সঙ্গে কলকাতা ইউনিভার্সিটির মৌ স্বাক্ষর হয়েছে। যার ফলে কলকাতা ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা বেলুড় মঠে এসে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। শুধু তাই নয়,ভারতের প্রথম ফিজিক্যাল এডুকেশন সংস্থা ‘লক্ষ্মীবাঈ ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন (গোয়ালিওর) -এর সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করেছে বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ ইউনিভার্সিটি। উল্লেখ্য,১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘লক্ষ্মীবাঈ ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন (গোয়ালিওর)’ ভারত সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রকের অধিনে আছে। রবিবার মৌ স্বাক্ষর হওয়ার ফলে বেলুড় মঠের ছাত্র-ছাত্রীরাও গোয়ালিওরে গিয়ে লক্ষ্মীবাঈ সংস্থায় গিয়ে ক্রীড়া বিজ্ঞান নিয়ে শিক্ষা নিতে পারবে।
২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্রীড়া বিভাগের সঙ্গেও মৌ চুক্তি স্বাক্ষর হয় রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ইউনিভার্সিটির সঙ্গে। এই চুক্তির ফলে রাজ্যে যে সব অ্যাকাডেমি আছে সেই সব অ্যাকাডেমিতে গিয়ে বেলুর মঠের ছাত্র-ছাত্রীরা খেলোয়াড়দের দেখে প্র্যাকটিকাল কাজ করার সুযোগ পাবেন।। পাশাপাপাশি এই অ্যাকাডেমির খেলোয়াড়রাও বেলুরমঠের পরীক্ষাগারে এসে নিজেদের পরীক্ষা করার সুযোগ থাকছে।
এই বেলুড় মঠ থেকে ক্রীড়া বিজ্ঞানে পাশ আউট করেছে প্রায় ৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী। তার মধ্যে ৬ জন অন্যতম। তাদের কেউ দিল্লির সাইতে রিসার্চ অফিসার পদে চাকরি পেয়েছেন কেউ আবার টাটা স্টিল স্পোর্টস বা জেএনইউ, সেনট্রাল ইউনিভার্সিটিতে ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে গবেশনার সুযোগ পেয়েছেন। আবার কেউ ব্যক্তিগত ভাবে স্বাধীন ভাবে নিজেই অ্যাসোসিয়েশন বা কোনও বেসরকারি সংস্থায় যুক্ত হতে পেরেছেন।
মহারাজ মৃন্ময় বলছিলেন, ‘অন্যান্য রাজ্যে ক্রীড়া বিজ্ঞান ও যোগা শিক্ষা নতুন কিছু নয়। আমাদের এখানে নতুন বলে কেউ কেউ মনে করেন। মেন স্ট্রিম ছেড়ে এই স্ট্রিমে আসতে অনেকে দ্বিধাগ্রস্ত। তবে আমার ধারণা,ছাত্র-ছাত্রীরা আস্তে আস্তে এই শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পারবে। একটু সময় লাগবে।”