বাংলা – ৪
মেঘালয় – ৩
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : গত তিন দিন আগে কেরলের কাছে হেরে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা। আর শুক্রবার মেঘালয়কে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফিতে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন বাংলার। ফারদিন আলি মোল্লা ও মহীতোষ রায়ের জোড়া গোলে মেঘালয়কে ৪-৩ গোলে হারাল বাংলা। এই জয়ের ফলে বাংলা দলের সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই সহজ হয়ে গেল। বড় ধরনের অঘটন না ঘটলে বাংলা সেমিফাইনালে যাচ্ছেই।
এদিন এই গ্রুপের ম্যাচে কেরল ২-১ গোলে হারাল পঞ্জাবকে। এই জয়ের ফলে ৪ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল কেরল। তিনটি করে ম্যাচ খেলে বাংলার ৬ পয়েন্ট, মেঘালয়ের ৪ পয়েন্ট এবং পঞ্জাবের তিন পয়েন্ট। আর রাজস্থান তিনটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হেরেছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলা খেলবে এই দূর্বল দল রাজস্থানের বিরুদ্ধে। বাংলা জিতলেই ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে বাংলা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল বাংলার। কেরল ম্যাচে অতিরিক্ত রক্ষনাত্মক ফুটবল খেলে কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য যে ভুলটা করেছিলেপ এদিন সেই ভুল করেননি। মেঘালয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ছিল বাংলা। ফারদিনের গোলে ২৩ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলা। দিলীপের পাস থেকে ভলিতে গোল করেন ফারদিন। কিন্তু ম্যাচের ৪০ মিনিটে ১-১ করে মেঘালয়কে সমতায় ফেরান সংতি জনাই। কিন্তু দু’মিনিটে মধ্যে আবার এগিয়ে যায় বাংলা। বক্সের মধ্যে ফাউল করা হয় দিলীপকে। পেনাল্টি থেকে গোল করে বাংলাকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন ফারদিন।
বিরতির পর ম্যাচ আরও জমে ওঠে। হাড্ডাহাড্ডি হয়। আবার শানো তারিয়াং গোল করে ফের সমতা ফেরায় মেঘালয়ক। এর তিন মিনিট পর আবার এগিয়ে যায় বাংলা। তৃতীয় গোলটি করেন মহিতোষ। কিন্তু এবারও গোল ধরে রাখতে পারেনি বাংলা। মেঘালয় ফের ৩-৩ করে ম্যাচে ফিরে আসে। কিন্তু বাংলা হাল ছাড়েনি।
ম্যাচের ৬৯ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন মহিতোষ।