মুম্বই সিটি – ৫ (বিক্রম ২, ইগর অ্যাঙ্গুলো, মোর্তাদা ফল, বিপিন সিং)
এটিক মোহনবাগান – ১ (উইলিয়ামস)
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১ ডিসেম্বর : মঙ্গলবার বাংলার ইস্টবেঙ্গল ৬ গোল হজম করেছিল। আর ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতে মুম্বই সিটির কাছে ৫ গোল হজম করল এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত কখনই মনে হয়নি তিনদিন আগে দাপটের সঙ্গে খেলে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে বাজিমাত করেছিল। এদিন ফুটবল দেবতার আশীর্বাদ ছিল বলেই হয়তো ৫ গোলেই হারতে হল,নইলে ৭ গোলে হারতে হত হাবাসের দলকে। মুম্বই ৫-১ গোলে হারাল এটিকে মোহনবাগানকে।
এদিনের মুম্বইয়ের খেলা দেখে মনে পড়ছিল ১৯৯৭ সালের অমল দত্তর সেই ডায়মন্ড সিস্টেমের ফুটবল। মুম্বই আক্রমণে যখন উঠছে তখন এক সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় জন ফুটবলার উঠে আসছেন। আবার বাগানের প্রতি আক্রমণ রুখতে নিজেদের ডিফেন্সে নেমে আসছে সাত থেকে আট জন ফুটবলার। মুম্বইয়ের তীব্র গতি ও ছন্দ পতন করতে যখন বাগানের ফুটবলাররা নিজেদের মধ্যে পাস খেলে খেলাটা মন্থর করতে চেয়েছিল,তখন রে রে করে বল তাড়া করে বাগান ফুটবলারদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল। এসসি ইস্টবেঙ্গলের মতোই এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণও যে দুর্বল তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে গেলেন বিক্রম,বিপিন,অ্যাঙ্গুলো,মোর্তাদারা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই একেবারে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণের মেজাজে খেলা শুরু করে মুম্বই। দুই উইংকে ব্যবহার করে সবুজ-মেরুন রক্ষণকে ফালাফালা করে দিল মুম্বই। তাঁদের হয়ে প্রথম দুটি গোলও করলেন রাইট উইং থেকে খেলা বিক্রম প্রতাপ সিং। অসম্ভব গতি তাঁর। তাঁকে রুখতেই পারছিল না বাগান ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের চার মিনিটেই প্রথম গোল করেন বিক্রম। দ্বিতীয়টি গোলটি করেন সেই বিক্রম, ২৫ মিনিটের মাথায়। যদিও গোলটি বিক্রমের হাতে লেগে বল গোলে ঢোকে। রেফারি কেন দেখতে পেলেন না,বোঝা গেল না। গোলকিপার ছাড়া দলের অন্য ফুটবলারদের প্রতিবাদ করতে দেখা গেল না। ৩৮ মিনিটে ইগর অ্যাঙ্গুলোর গোলে ৩-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় মুম্বই। বিপিন-বিক্রম জুটি বার বার ব্যস্ত রেখেছে মোহনবাগান গোলরক্ষক অমরেন্দ্র সিংহকে।
মুম্বই সিটি এফসি কাছে অসহায় আত্মসমর্পন বাগানের। বলের দখল মুম্বইয়ের কাছেই ছিল ৬০ শতাংশ। মুম্বই নিজেদের মধ্যে যেখানে ৪৫৭টি পাস খেলেছে, সেখানে মোহনবাগান খেলেছে মাত্র ২৫২টি পাস। মুম্বই গোল লক্ষ্য করে ১০টি শট মেরেছে, সেখানে মোহনবাগান মেরেছে একটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সবুজ-মেরুনের বিপদ আরও বাড়িয়ে দেন দীপক টেংরি। বিপক্ষকে ফাউল করায় লালকার্ড দেখতে হয় তাঁকে। ১০ জনের এটিক মোহনবাগান ৪৭ এবং ৫২ মিনিটে পরপর জোড়া গোল খেয়ে আরও বিপাকে পড়ে যায়। ৬০ মিনিটের মাথায় দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করে সবুজ-মেরুনের মুখরক্ষা করেন ডেভিড উইলিয়ামস।
এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। ঘুরে দাঁড়ানোর সময় আছে ঠিকই কিন্তু এই রক্ষণ নিয়ে এটিকে মোহনবাগান ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তো?