ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : রায়গঞ্জ শহরের জুবিলি ময়দানে (টাউন মাঠ) লাল-হলুদ ঝড়। মাঠের বাইরে সমর্থকদের হাতে ইস্টবেঙ্গলের ফ্ল্যাগ, মাথায় বাঁধা লাল-হলুদ রংয়ের ফেট্টি। মুখে মুখে ইস্টবেঙ্গলের জয়ধ্বনি। কলকাতার গড়ের মাঠের সেই অতিপরিচিত পরিবেশ পেয়েই যেন রায়গঞ্জের মাঠে জ্বলে উঠলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। অচেনা মাঠকে বুঝে নিতে একটু সময় নেওয়া মাত্র। তারপরেই গোলের দরজা খোলা শুরু। আর তাতেই উপস্থিত লাল-হলুদ জনতার মন দুলে উঠল।
প্রতিপক্ষ রায়গঞ্জ একাদশকে কার্যত উড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। এক গোল নয়,দুই গোল নয়, সাত,সাতটি গোল দিয়ে রায়গঞ্জের ফুটবল প্রেমীদের মন জয় করে নিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। রায়গঞ্জ একাদশকে ৭-১ গোলে হারাল লাল-হলুদ ব্রিগেড। জেসিন টিকে হ্যাটট্রিক সহ চারটি গোল করে নায়ক হয়ে গেলেন।সঞ্জীব ঘোষ দুটি ও শ্যামল বেসরা একটি গোল করেন। রায়গঞ্জ একাদশের একমাত্র গোলদাতা সঞ্জীব সিংহ। এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল পৌঁছে গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার ৯০ বছরের ‘কুলদাকান্ত শিল্ড’-এর ফাইনালে।
এই প্রথম ‘কুলদাকান্ত শিল্ড’-এ অংশ নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। স্বাভাবিক ভাবেই রায়গঞ্জ শহরের ক্রীড়া মহলে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। এই শহরে মোহনবাগানের থেকে ইস্টবেঙ্গল সমর্থক সংখ্যা বেশি। ম্যাচের শুরু থেকেই মোহনবাগান সমর্থকরা রায়গঞ্জ একাদশকে সমর্থন করতে থাকে। পাশাপাশি লাল-হলুদ পতাকা নিয়ে সারাক্ষণ প্রিয় দলের জন্য গলা ফাঠালেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
সংগঠনের পক্ষ থেকে টাউন ক্লাবের সচিব অরিজিৎ ঘোষ জানান,”সাতের দশকে আমাদের কুলদাকান্ত শিল্ডের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মত। পুরনো উন্মাদনা ফেরাতে, উন্নতমানের ফুটবল ম্যাচ ফিরিয়ে আনার জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করছি। এই বছর ইস্টবেঙ্গল খেলতে আসার জন্য উন্মাদনা বেড়ে গিয়েছে। আমরা যারা ফুটবল খেলে এসেছি বা এখন যারা খেলছে তাদের একটাই স্বপ্ন তিন প্রধান ক্লাবে খেলা। অথবা তাদের বিরুদ্ধে খেলা। আজ আমাদের জেলার ছেলেদের সামনে সেই সুযোগ এলো। নিজেদের মাঠে ইস্টবেঙ্গলের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাওয়াটাও গর্বের। আশাকরছি ফাইনালের ইস্টবেঙ্গল মন জয় করবে।”