ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, সুমিত রাঠি – এই তিন সিনিয়র ছাড়াও পরে মাঠে নেমেছিলেন কিয়ান নাসিরি। বাকি দলে প্রায় সবাই তরুণ,অখ্যাত, অনভিজ্ঞ। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে এটাই ছিল মোহনবাগানের দল। আর তাই নিয়েই বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ সেনা দলকে কার্যত নাচিয়েই ছাড়লেন মোহনবাগানের ফুটবলাররা। দাপটের সঙ্গে খেলে বাংলাদেশ সেনা দলকে ৫-০ গোলে হারাল মোহনবাগান।
এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই রে রে করে আক্রমণে উঠে গিয়ে খেলা শুরু করে মোহনবাগান। আর এই আক্রমণাত্মক ফুটবলটা খেলে গেল ম্যাচের শেষ সময় পযর্ন্ত। কখনও দুটি প্রান্ত ধরে বিপক্ষের বক্সে হানা দিচ্ছে, আবার কখনও মাঝমাঠ থেকে চারটে, পাঁচটা পাস খেলে চমৎকার ভাবে আক্রমণে গিয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তখন তো নাভিশ্বাস ওঠার মতো পরিস্থিতি।
গোল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৪ মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে গিয়ে বক্সে ঢুকে গিয়ে বল বাড়ান রবি। বাংলাদেশের গোলরক্ষক বলটা ধরতেই পারলেন না। সেই সুযোগে লিস্টন কোলাসো বাঁ পায়ের টোকায় গোল করেন। পরের গোল ২৯ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন মনবীর। ৩৮ মিনিটে আবার গোল। এবার কাশ্মীরের তরুণ ফুটবলার সুহেল ভাটের। প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশ নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে গোল করেন নামতে। ছোট ছোট পাস খেলতে খেলতে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে থেকে লিস্টনের থেকে আসা বলটাকে চমৎকার ব্যাকহিল করেন মনবীর। সেই বল ধরে গোল করেন নামতে। ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ গোলটি করেন পরিবর্তিত ফুটবলার কিয়ান নাসিরি। ডুরান্ডের শুরুতেই পাঁচ গোলে জয় দলের পক্ষ্যে ভাল ইঙ্গিত।
এদিন ডুরান্ড কাপ উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদাধিকারীরা। ফুটবলে শট নিয়ে ডুরান্ড কাপের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।