ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : সেমিফাইনালে দুরন্ত লড়াই করে টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে উঠেছিল মোহনবাগান। আর আজ শনিবার গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে আইএসএলের ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ভারত সেরা হল মোহনবাগান।
এদিন ম্যাচের প্রথম সাত মিনিট বেঙ্গালুরু দাপট দেখালেও পরে সেই দাপট আর ধরে রাখতে পারেনি। ১৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পেত্রাতোসের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কিন্তু ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে মিস কিক করে বসলেন শুভাশিস। বল না লেগে শুভাশিসের পা গিয়ে লাগল রয় কৃষ্ণর উরুতে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টি দেন। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে বেঙ্গালুরুকে সমতায় ফেরান সুনীল ছেত্রী।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭৮ মিনিটে রোশনের কর্ণার থেকে আসা বল হেড করেন ব্রুনো। সেই বল থেকে গোল করে বেঙ্গালুরুকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন রয় কৃষ্ণ। ৮৩ মিনিটে টপ বক্সের লাইনের ঠিক বাইরে কিয়ানকে ফাউল করে মাটিতে ফেলে দেন পাবলো। কিয়ানের শরীর আছড়ে পড়ে বক্সের ভিতরে। রেফারি পেনাল্টি দেন। যদিও এই পেনাল্টি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। পেত্রাতোস সেই বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করে ২-২ করেন।
নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ২-২ গোলে শেষ হলে অতিরিক্ত সময়ে খেলা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে কোনও দলই গোল করতে না পারলে টাইব্রেকারে মোহনবাগান ৪-৩ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয়। বেঙ্গালুরুর কোস্তা, রয় কৃষ্ণ, সুনীল টাইব্রেকারে গোল করলেও ব্রুনোর গোল আটকে ফের নায়ক হয়ে যান মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। পাশাপাপাশি বাগানের হয়ে টাইব্রেকারে পেত্রাতোস, লিস্টন, কিয়ান ও মনবীর গোল করলে চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরু। আর সেই চাপ নিতে না পেরে পঞ্চম শট বাইরে মারেন পাবলো। ম্যাচ তখনই শেষ। পঞ্চম শট নেওয়ার আগেই মোহনবাগান তখন ভারত সেরা স্বীকৃতি পেয়ে যায়।