ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : একটার পর একটা সমস্যা সামনে এসে পড়ছে ইস্টবেঙ্গলের সামনে। এবার বড় ধাক্কা বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ফিফার। ৯ ফুটবলার ও এক ফিজিক্যাল ট্রেনারের চুক্তি অনুযায়ী বকেয়া টাকা না দেওয়ায় আপাতত ইস্টবেঙ্গলকে নির্বাসনে পাঠাল ফিফা। বিশ্ব ফুটবল নিয়ামক সংস্থা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে, ফুটবলারদের বকেয়া বেতন মামলায় নতুন করে জাতীয় ফুটবলারদের সই করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল। ফিফার এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার ফলে চরম বিপাকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘কোয়েস ইস্টবেঙ্গল’ -এর সময় ৯ ফুটবলার ও এক ফিজিক্যাল ট্রেনার বকেয়া বেতন না পেয়ে কোয়েসের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু কোয়েস জানিয়ে দেয়, তারা ক্লাব থেকে বেড়িয়ে এসেছে। তারা এই বকেয়া দিতে পারবে না। পরে ফুটবলাররা ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ করেন। ফিফার কাছে বকেয়া না পাওয়ার অভিযোগ করেন ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার। বিষয়টি নিয়ে ফিফার ‘ক্যাস’-এ মামলা শুরু হয়। মাসখানেক আগে ফুটবলারদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গলকে মেল করে জানিয়ে দিয়েছিল ফিফা। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা ও শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ ফুটবলারদের বকেয়া মেটানোর কোনও উদ্যোগ নেয়নি।
ফুটবলার ও ট্রেনারের বকেয়া মিলিয়ে টাকার পরিমান প্রায় ৫ কোটি টাকা।
শ্রীসিমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে এখনও চূড়ান্তভাবে চুক্তি হয়নি তাই এই সমস্যা মেটানোর কোনও উদ্যোগ তারা নেবে না। যদিও মৌ সাক্ষর করার আগে শ্রীসিমেন্ট নাকি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছিল, ২০২০ সেপ্টেম্বরের আগে কোনও বকেয়া তারা মেটাতে রাজি নয়। কিন্তু ফাইনাল টার্মসিটে সই করা থাকলে দলের স্বার্থে বকেয়ার ৫ কোটি টাকা দিতে কোনও সমস্যায় ছিল না হরিমোহন বাঙ্গুরের। শ্রীসিমেন্টের এক কর্তা বলছিলেন,”আমরা এ ব্যাপারে কিছুই করতে পারবো না। কারণ আমাদের সঙ্গে এখনও ইস্টবেঙ্গলের চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। কাজেই ফুটবলারদের বকেয়া টাকার দায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তাদেরই নিতে হবে।”
আইএসএলের জন্য যখন অন্য ক্লাবগুলি দল গড়ছে, সেখানে ফিফার এই নিষেধাজ্ঞা ইস্টবেঙ্গলের কাছে বড় ধাক্কা। উল্লেখ্য, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে কেরল ব্লাস্টারকেও নির্বাসনে পাঠিয়েছে ফিফা।