ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৭ ফেব্রুয়ারি : গত ২৫ দিনের লড়াই শেষ। চলে গেলেন ভারতের প্রাক্তন শিল্পী ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। এমনিতেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ২৩ জানুয়ারি কলকাতা ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কম ছিল। শ্বাসকষ্ট ছিল, সঙ্গে প্রচণ্ড কাশি। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক ছিলই। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা হচ্ছিল কৃত্রিম পদ্ধতি। বাইপ্যাপ সাপোর্টে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল ভারতের অন্যতম শিল্পী ফুটবলারকে। কিন্তু জীবন যুদ্ধের লড়াই আর চালিয়ে যেতে পারলেন না। আজ,বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যু হয় সুরজিৎ সেনগুপ্তর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী শ্যামলী সেনগুপ্ত ও পুত্র স্নিগ্ধদেব সেনগুপ্তকে।
১৯৫১ সালের ৩০ অগস্ট সুরজিতের জন্ম হয়। হুগলি জেলার সুরজিৎ ময়দানে আত্মপ্রকাশ হয় রবার্ট হাডসনের হাত ধরে। পরের ছর খিদিরপুর ক্লাবে সই করেন। পরবর্তীকালে তিনি মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবে খেলেছেন। ১৯৭২ সাল থেকে দু’বছর মোহনবাগানে ছিলেন। ১৯৭৪ সালে ইস্টবেঙ্গলে। সেই থেকে টানা ছ’বছর লাল-হলুদে খেলেন। ১৯৮০ সালে সই করেন মহমেডানে। পরের বছর ফের মোহনবাগানে। খেলেন তিন বছর। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা দলের অধিনায়কত্ব করেছেন ১৯৭৬ সালে। ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পযর্ন্ত টানা ভারতের হয়ে খেলেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশের ফুটবল মহলে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।