◆সন্দীপ দে◆
জট কেটে গিয়েছে। দল বদলও শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার মাঠে বল গড়ানোর অপেক্ষা। ফুটবলারদের সই পর্ব মিটে গেলেই শুরু হয়ে যাবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ফুটবল লিগ। চার বছর পর আবার ফুটবলের মূল স্রোতে ফিরছে এই জেলা। সেই সঙ্গে টাইটেল স্পনসর নিয়েই জেলা ফুটবল লিগ ফিরছে। সেই দিক দিয়ে দেখতে গেলে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা লিগে প্রথম টাইটেল স্পনসর এলো। অতীতে অন্যান্য জেলা লিগেও সম্ভবত টাইটেল স্পনসর দেখা যায় না। যা পথ দেখাতে চলেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে এই জেলা লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে বুধবার বিকেলে।
প্রসঙ্গত, মামলার ফাঁসে গত ৪ বছর ধরে এই জেলার ফুটবল লিগটা বন্ধ ছিল। এই লিগ ফিরিয়ে আনার জন্য অনেকেই উদ্যোগ নিলেও তিন ব্যক্তির ভূমিকা বিরাট। সাংসদ পার্থ ভৌমিক, প্রাক্তন ফুটবলার রঞ্জিত মুখার্জি ও স্বপন সেনগুপ্ত। এঁরা সক্রিয় ভূমিকা না নিলে লিগ বন্ধ হয়েই থাকতো। সাংসদ হওয়ার পরেই মামলাকারীদের সঙ্গে কথা বলে মামলা প্রত্যাহার করিয়ে লিগ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন পার্থ ভৌমিক। জেলা ক্রীড়া সংস্থায় যে দুই-একজন কর্তা ছিলেন যারা সংস্থায় “অসভ্যর গণতন্ত্র” প্রতিষ্ঠা করতে চেয়ে ফুটবলটাই তুলে দিয়েছিলেন। শুধু চেয়ারের বসার জন্য যাদের জিভ দিয়ে লালা ঝড়ে। অথচ কাজ করার ইচ্ছে নেই। সেই ‘দুই-একজন’ কর্তাদের কড়া বার্তা দিয়ে নিস্ক্রিয় করে দিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মঙ্গল করেছেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক। যা এতদিন কেউ পারছিলেন না পার্থবাবু সেটাই করে দেখিয়েছেন।
আর এই জেলার দুই প্রাক্তন ফুটবলার রঞ্জিত মুখার্জি ও স্বপন সেনগুপ্ত উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের জেলা লিগে স্পনসরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। রাজা উদ্যোগ প্রাইভেট লিমিটেডের “রাজা বিস্কুট” উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ফুটবল লিগের টাইটেল স্পনসর হয়েছে। সুপার ডিভিশন, ‘এ’ ডিভিশন, ‘বি’ ডিভিশনের চ্যাম্পিয়ন, রানার্স এবং সেমিফাইনালের পরাজিত দলকেও আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। আর্থিক সাহায্য পাবে এই জেলার বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্টও। এই আর্থিক পুরস্কারের সঙ্গে লিগের যাবতীয় খরচ বহন করবে এই “রাজা বিস্কুট।” এই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা একটা সময় ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাইলাইন ছিল। সেই জেলার ফুটবলকে মূল স্রোতে ফেরাতে “রাজা বিস্কুট” যে ভাবে এগিয়ে এসেছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। প্রসঙ্গত, নিজেদের জেলা লিগ ফেরাতে সক্রিয়ভাবে পাশে আছেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গাঙ্গুলি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যও।