ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ডুরান্ডের মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের টিকিট ঘিরে তীব্র হাহাকার। বেশ কয়েক বছর ফুটবলের ডার্বি ম্যাচ ঘিরে ময়দানে উন্মাদনা চরমে। টিকিটের জন্য লম্বা লাইন। শুধু কলকাতা নয়, শুক্রবার সাত সকালেই টিকিটের জন্য দুই প্রধান ক্লাবে পৌঁছে গিয়েছেন বিভিন্ন জেলার সমর্থকরা।
আজ,শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে মোহনবাগান ক্লাব থেকে সাধারণের জন্য টিকিট দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু এই টিকিট নেওয়ার জন্য লাইন শুরু হয় সকাল থেকে। কাউন্টার খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই টিকিট শেষ হয়ে যায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় কাউন্টার। তখনও কয়েক হাজার সমর্থক লাইনে দাঁড়িয়ে। টিকিটের একটা লাইন পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় বটতলা পযর্ন্ত। অপর লাইন কাস্টমস মাঠ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
ডার্বি ম্যাচের টিকিট কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন মহিলারাও। বহু বছর পর এমন দৃশ্য দেখল ময়দান। তবে টিকিট না পেয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সমর্থকদের মধ্যে।
হাবড়া থেকে এসেছেন এক ঝাঁক মোহনবাগান সমর্থক। তারা ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে বলছিলেন, আজ সকালে কলকাতা পৌঁছে গিয়েছেন। মোহনবাগান ক্লাবের কাউন্টারে পৌঁছে দেখেন লম্বা লাইন। শেষ পযর্ন্ত তারা টিকিট পাননি।
নদিয়া, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ থেকে বেশ কিছু সমর্থক এসেও শেষ পযর্ন্ত তারা টিকিট হাতে পাননি। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পযর্ন্ত ক্লাব থেকে বটতলা – লম্বা রাস্তায় বসে পড়েন মোহনবাগান সমর্থকরা। তাদের একটাই দাব, সাধারনের জন্য টিকিট পাবেন না কেন? কোথায় যায় এই টিকিট? ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন টিকিট না পাওয়া হতাশ সমর্থকরা।
একই অবস্থা ইস্টবেঙ্গলেও। লাল-হলুদ তাঁবুতে টিকিট দেওয়া শুরু হয় দুপুর দুটো থেকে। কিন্তু এখানেও এক ছবি। টিকিটেকর লাইন পৌঁছে যায় কাস্টমস ক্লাবের গেট পযর্ন্ত। সেই সঙ্গে লাইনের পাশ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বহু সমর্থক।
লাইন সামলাতে মাউন্টেন পুলিশ পযর্ন্ত সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে। তারা ক্লাব কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন একটা লাইন করে এন্ট্রি আর এক্সিট পথ আলাদা করতে। কিন্তু সেই ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। স্বাভাবিক ভাবেই সমর্থকদের জটলা বাড়তে থাকে।