ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৫ জানুয়ারি : গত তিন মাসে তিন ফর্ম্যাটের ক্রিকেট থেকে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন বিরাট কোহলি। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারার ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন বিরাট কোহলি। শনিবার টুইট করে টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত জানান কোহলি।
গত অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে কোহলি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি আর টি-২০ ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করবেন না। তারপরেই একদিনের ক্রিকেট থেকেও কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয় বিসিসিআই। এবার নিজেই টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন।
টুইট করে এক বিবৃতিতে কোহলি লিখেছেন, “গত সাত বছর ধরে প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম, একটানা ধৈর্য দেখিয়ে দলকে একটা সঠিক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে এই কাজ করেছি। কিন্তু একটা সময় থেমে যায়। আমার মনে হয়েছে, টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে, আমার কাছেও এটাই থেমে যাওয়ার সময়।”
কোহলি আরও জানান, “এই জার্নিতে অনেক উত্থান, পতন হয়েছে। কিন্তু কখনওই বিশ্বাসের খামতি থাকেনি। যা-ই করি না কেন, বরাবর নিজের ১২০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দলের প্রতি অসৎ হতে পারব না।”
জাতীয় দলের এই সদ্য প্রাক্তন অধিনায়ক বিসিসিআইকেও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে দেশকে নেতৃত্বদানের সুযোগ দেওয়ায় বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাই ৷ সবচেয়ে বড় কথা হল আমার সতীর্থরা যে কোনও পরিস্থিতিতে হাল ছেড়ে দেয়নি ৷ তোমরা আমার এই জার্নিকে আরও স্মরণীয় করে দিয়েছ ৷” কোহলির এই আবেগী পোস্টে উঠে এসেছে প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীর কথাও ৷ তাঁর প্রিয় ধোনি ভাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট শেষ করেছেন বিরাট ৷ লিখেছেন, “টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্যের ধারাবাহিকতার পিছনে রবি ভাই এবং তাঁর সাপোর্ট গ্রুপে ছিলেন ইঞ্জিনের মতো ৷ স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার পিছনে তোমাদের অবদান অসামান্য ৷ সবশেষে এমএস ধোনিকে একটা বড় ধন্যবাদ দিতে চাই ৷ যিনি অধিনায়ক হিসেবে আমায় বেছে নিয়ে বিশ্বাস দেখিয়েছিলেন ৷ আমার মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা যে আছে তা উনিই প্রত্যক্ষ করেছিলেন ৷”