ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : প্রতিক্ষার অবসান। অবশেষে ইমামি-ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে চুক্তি সই হয়ে গেল। নতুন কোম্পানি নাম হল ‘ইমামি ইস্টবেঙ্গল প্রাইভেট লিমিটেড’। কলকাতা লিগ ও ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গল নামেই খেলবে। আর আইএসএলে খেলবে ইস্টবেঙ্গল এফসি নামে। যেহেতু আইএসএলে কোনও ক্লাবের আগে কর্পোরেট সংস্থার নাম ব্যবহার করা যাবে না,তাই শুধু ইস্টবেঙ্গল নামেই খেলবে।
মঙ্গলবার বিকেলে মধ্য কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইমামি ও ইস্টবেঙ্গল চুক্তি পত্রে সই করে। উন্মোচন করা হয় নতুন লোগো – ‘ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব’। গত ২৫ মে নবান্ন থেকে ইস্টবেঙ্গলের নতুন ইনভেস্টর হিসেবে ইমামির নাম ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই মাস পর তার চূড়ান্ত রূপ পেল।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ইমামির কর্ণধার আদিত্য আগরওয়াল বলেন,”আজকে আমরা ইস্টবেঙ্গলে এসেছি ইনভেস্টার হিসেবে, স্পনসর হিসেবে নয়। আর সেই কারণেই ক্লাবের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। ইমামিকে যেমন ইস্টবেঙ্গলের দরকার, ঠিক তেমন ইমামিরও ইস্টবেঙ্গলকে দরকার। আমরা একে অন্যকে সমর্থন করি এবং যার যা দায়িত্ব আমরা সেটা ঠিকঠাক ভাবে পালন করব।”
তিনি আরও বলেন,”দেশের ক্রীড়া জগতের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। মনে করে দেখুন, ভারতের ক্রীড়া জগতের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বকে আমরা দূত হিসেবে তুলে এনেছি। সেই তালিকায় প্রয়াত মিলখা সিংহ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেণ্ডুলকর, বীরেন্দ্র সহবাগ, সাইনা নেহওয়াল, সানিয়া মির্জা, মেরি কম, বিজেন্দ্র, সুশীল কুমার। ’৯০-এর দশকে আমরা ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর হিসেবে ছিলাম। তখন আমরা স্পনসর হিসেবে ছিলাম। এবার ইনভেস্টর হিসেবে যুক্ত হতে পেরে খুশি।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘ইমামি ইস্টবেঙ্গল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে ৭৭ শতাংশ শেয়ার থাকছে ইমামির। আর ইস্টবেঙ্গলের থাকছে ২৩ শতাংশ। দশ জনের যে বোর্ড অফ ডিরেক্টর গড়া হবে সেখানে ইমামির সাত প্রতিনিধি ও ইস্টবেঙ্গলের তিন প্রতিনিধি থাকবে।
চুক্তি পত্রে সই হওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেছেন, “ইমামিকে বিনিয়োগকারী হিসেবে পেয়ে আমরা খুব খুশি। ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে দেশের অন্যতম সেরা ফুটবল দল হিসেবেই তুলে ধরবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ও ইস্টবেঙ্গলের একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে প্রাক্তন ফুটবলারদেরও মঞ্চে ডেকে নেন দেবব্রত সরকার।
গত তিন বছরে দু-দুটি ইনভেস্টর ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে চলে গেছে। সেই নিয়ে নানা ভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে দেবব্রত সরকার বলেন,”চ্যালেঞ্জটা আমার কাছে আশীর্বাদ। আমাকে নিয়ে সমালোচনা যত বেশি হয় ততোই আমি উজ্জীবিত হই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব একটা নাম। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে যে ছোটো করে দেখতে চেয়েছে, সে নিজে ছোটো হয়েছে। একটা চুক্তিপত্রে সই করতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগে। প্রত্যেকবার সমস্যা হয়েছে। আশাকরি আমরা সেরা খেলাটাই খেলব”।