চুক্তিতে সই করার রাস্তা খোলা রেখেই ইস্টবেঙ্গলের ‘বিদ্রোহী’ কর্তাদের পদত‍্যাগের ‘হুমকি’

0

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১ জুন : লগ্নিকারীর টার্মসিটে সই করবে না ইস্টবেঙ্গল। আর যদি কোনও চাপের কাছে সই করতে হয় তাহলে ক্লাবের কার্যকরি সভিতির সকল সদস‍্য এক সঙ্গে পদত‍্যাগ করবেন। মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কার্যকরী সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে এক অডিও বার্তার মাধ‍্যমে সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় এদিনের কার্যকরী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের খবর।

শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর সই করানোর সিদ্ধান্তে যেমন অটল আছেন,তেমনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবও সই না করার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন। কিন্তু পাশাপাশি টার্মসিটে সই করার রাস্তাও খোলা রাখলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ক্লাবের পক্ষ থেকে আসা অডিও বার্তায় বলা হয়েছে, কোনও চাপের সামনে পড়ে সই করতে হয় তাহলে তারা সবাই পদত‍্যাগও করবেন। এই ‘চাপ’ শব্দটা ব‍্যবহার করেই সইয়ের রাস্তা খোলা রাখা হল।

এখন প্রশ্ন উঠছে কিসের চাপের কাছে পড়ে চুক্তিপত্রে সই করতে হতে পারে? সদস‍্য-সমর্থকদের চাপ? মুখ‍্যমন্ত্রীর চাপ? নাকি শেষ মূহুর্তে শ্রী সিমেন্টের চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের চাপ? ধোঁয়াসা থেকেই গেল। তবে এটা পরিস্কার হয়ে গেল, পদত‍্যাগের ‘হুমকি’ দিয়ে দুটি চাল চেলেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। প্রথমত, সই না করে হরিমোহনকে পাল্টা চাপ দিলেন। দ্বিতীয়ত, কোনওচাপের কাছে হেরে যদি সই করতে হয়, তাহলে কার্যকরী কমিটির সবাই পদত‍্যাগ করে সদস‍্য-সভর্থকদের কাছে তাদের ‘নৈতিক জয়’ হিসেবে তুলে ধরবেন।

আইএসএলে খেলতে হলে শ্রীসিমেন্টের চুক্তিপত্রে দেবব্রত সরকারদের সই করতেই হবে। কারণ এই মুহূর্তে কোনও স্পনসর নেই। যদি ইনভেস্টরের অভাবে আইএসএল থেকে সরে গিয়ে আই লিগে খেলতে হয় তাহলে সদস‍্য-সমর্থকরা মেনে নেবেন না। হতে পারে চরম বিক্ষোভ। শেষ মূহুর্তে তখন সই করে পদত‍্যাগ করে দিতে পারেন কর্তারা। তাই পূর্বপরিকল্পিত পদত‍্যাগের ‘হুমকি’-র কথা বলে কার্যত সইয়ের রাস্তা খোলা যেমন রাখলেন,তেমনি বাঙ্গুর গোষ্ঠীর উপর পাল্টা চাপও দিয়ে রাখলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here