মোহনবাগান – ১ (পেত্রাতোস)
ইস্টবেঙ্গল – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : এবারের ডুরান্ডের গ্রুপ লিগের ডার্বি ম্যাচে হার। রেফারি তাদের সহযোগিতা করছে। মরসুমের প্রথম ডার্বি হারার বদলা নেওয়ার আওয়াজ তুলে সোসাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছিল – “বদলা নেব এই মাঠেই।” এমন সব পাহাড় প্রমাণ চাপ নিয়ে শেষ পর্বে কিস্তিমাত করে ফের স্বমহিমায় মোহনবাগান। রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পেত্রাতোসের গোলে ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২২ বছর পর ডুরান্ড কাপ জিতল মোহনবাগান। মোহনবাগান শেষ ডুরান্ড জিতেছিল ২০০০ সালে। ফাইনালে মুম্বইয়ের মাহিন্দ্রা ইউনাইটেডকে গোল্ডেন গোলে হারিয়ে সেই বছর ডুরান্ড জিতেছিল মোহনবাগান। তারপর সেনাবাহিনীর এই টুর্নামেন্ট খেতাব আর বাগানে আসেনি। এবার এল ২২ বছর পর, তাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে।
এদিনের ম্যাচের উত্তেজনা ছিল শুরু থেকেই। ধারে ভারে মোহনবাগান অনেক এগিয়ে থাকলেও ইস্টবেঙ্গল আগের ডার্বি ম্যাচের মতোই দাপট দেখিয়ে খেলে গেল। যে দলটা কয়েক মাস আগেও মাঠে নামার আগে হেরে যেত সেই দলের ফুটবলারদের মানসিকতাটাই বদলে দিয়েছেন কোচ কুয়াদ্রাত। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁঝটা ছিল ইস্টবেঙ্গলেরই। ছোট ছোট পাস খেলে দিব্বি বাগানের বক্সে পৌঁছে যাচ্ছিলেন কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। কিন্তু বক্সে পৌঁছেই গোলের দড়জা খুলতে পারছিল না। মোহনবাগান ট্যাকটিক্যাল গেম খেলে প্রতিআক্রমণে উঠে গিয়ে গোল করার চেষ্টা করেছে।
১২ অগাষ্ট ডার্বির মতোই মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো এদিনও প্রথম একাদশে রাখেননি বিশ্বকাপার জেসন কামিংসকে। আক্রমণভাগে ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং আর্মান্দো সাদিকু। পিছনে হুগো বুমোস। তাঁর সঙ্গে অনিরুদ্ধ থাপা ও সাহাল সামাদ। অন্য দিকে, ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত আগের ম্যাচ গুলোর মতোই প্রথম একাদশে রাখেননি ক্লেটন সিলভাকে। তবু,ডার্বি ম্যাচ অনুযায়ী খুব ভাল ম্যাচ হল না। প্রথমার্ধ গোল শূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধেও বল পজিশন বেশি ছিল ইস্টবেঙ্গলের।
ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখেন মোহনবাগানের অনিরুদ্ধ থাপা। সিভেরিয়ো বলে হেড করার সময় তাঁর মুখে পা চালিয়ে দেন অনিরুদ্ধ। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখিয়ে (ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় অনিরুদ্ধকে) অনিরুদ্ধকে মাঠ থেকে বার করে দেন।
দশ জন হয়ে যাওয়ার পরেই মোহনবাগান কোচ ফেরান্দো আক্রমণ বাড়াতে এক সঙ্গে মাঠে নামান বিশ্বকাপার কামিংস, লিস্টন এবং মনবীরকে। ৭০ মিনিটে প্রতি আক্রমণে গিয়ে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ডানদিক দিয়ে বল নিয়ে দৌড় শুরু করেন পেত্রাতোস। বাঁদিকে আড়াআড়ি পজিশন নিয়েছেন কামিংস, লিস্টন। তাঁদের বল না দিয়ে নিজেই দুরন্ত শট নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়ে দিলেন। গোল হজম করার পর অল আউটে চলে গেলেও শেষ পযর্ন্ত গোলটা আর করতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেডের ফুটবলাররা। ৩০ মিনিট দশ জনের মোহনবাগানকে পেয়েও আসল কাজটাই করতে পারেনি কুয়াদ্রাত বাহিনী। মোহনবাগান গত মরসুম শেষ করেছিল আইএসএল খেতাব জিতে। আর এবারের মরসুম শুরু করল ডুরান্ড কাপ জিতে।