ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : নাম পাঠাতে ভুলে গিয়েছিলেন? নাকি ইচ্ছাকৃত ভুল? গত রাত থেকে এই নিয়েই CAB’র অন্দরমহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। বিষয়টা হল, আগামী ১২ জানুয়ারি BCCI ‘র দুটি পদের নির্বাচন। সচিব এবং কোষাধ্যক্ষ – এই দুটি পদের নির্বাচনের জন্য স্পেশাল জেনারেল মিটিং ডাকা হয়েছে ১২ জানুয়ারি। এই মর্মে বোর্ডের অধীনে থাকা সকল রাজ্য ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থাকে তাদের মনোনিত প্রতিনিধির নাম পাঠানোর জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিলেন বোর্ডের ইলেকটোরাল অফিসার। সব রাজ্য নিজেদের নাম পাঠিয়েছে। শুধু বাংলা থেকে CAB (ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল) কোনও প্রতিনিধির নামই পাঠাতে পারেননি। BCCI এর ওয়েবসাইটে যে ৩৪ রাজ্য ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার প্রতিনিধির নাম প্রকাশ করা হয়েছে তাতে CAB ‘ র কোনও প্রতিনিধির নাম উল্লেখ নেই। এই নিয়ে নাকি BCCI মহলও অবাক হয়েছে। প্রসঙ্গত, নাম পাঠানোর জন্য ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৮ পযর্ন্ত সময় ছিল। এই সময়ের মধ্যে CAB কর্তারা কোনও প্রতিনিধির নাম পাঠাতে পারেননি। এই ব্যাপারে জানতে CAB সচিব নরেশ ওঝার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনবার ফোন করার পর একই বক্তব্য শোনা গিয়েছে “…..পরিষেবার বাইরে।”
সূত্রের খবর, BCCI তে নাম পাঠানোর বিষয় নিয়ে কয়েকদিন আগে হয়ে যাওয়া CAB ‘র অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে কোনও আলোচনায় হয়নি। এই ব্যাপারে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের এক সদস্যর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে ‘ইনসাইড স্পোর্টস’র এই প্রতিবেদককে জানান,”BCCI তে নাম পাঠানোর বিষয় নিয়ে আমাদের মিটিংয়ে কোনও আলোচনায় হয়নি।”
তাহলে CAB’র শীর্ষকর্তারা নাম পাঠানোর বিষয়টা ভুলে গিয়েছিলেন? CAB’র একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে এই নাম পাঠানো নিয়ে বাংলা ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার অন্দরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। অন্য অফিস বেয়ারারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তাঁরা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, এখনই কোনও মন্তব্য করতে চান না। মিডিয়ার কাছে কোনও মন্তব্য করলে ব্যাপারটা অন্যভাবে দেখা হবে।
তবে CAB’র এই নাম না পাঠানোর বিষয় নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আজ (রবিবার) সকালে পোষ্ট করেছেন আদিত্য বর্মা। ইনি বিহারের সেই আদিত্য বর্মা যিনি বোর্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্ট লোধা আইন আনেন। CAB থেকে কোনও প্রতিনিধির নাম না পাঠানোর ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন আদিত্য বর্মা।