◆ অনির্বানকে জন্মদিনের কেক খাইয়ে দিচ্ছেন অজিত ব্যানার্জি। শুক্রবার আইএফএ অফিসে◆
◆সন্দীপ দে◆
গত বছর ২০ জুন আইএফএ সচিবের চেয়ারে বসেছিলেন অনির্বান দত্ত। দেখতে দেখতে এক বছর দুই দিন হয়ে গেল। আজ, ২৩ জুন,অনির্বানের জন্মদিন ঘিরে দুপুরে আইএফএ অফিসের সকল স্টাফ,ময়দানে বেশ কিছু ক্লাবের কর্তারাও সামিল হয়েছিলেন। আর এই দিনটাকে সামনে রেখেই যুদ্ধের দামামা বাজালেন আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি। এই যুদ্ধ বাংলার ফুটবলের স্বার্থে। এই যুদ্ধ খারাপের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধ ভালর পক্ষে।

আইএফএতে এখন ‘ওরা-আমরা’ স্পষ্ট। ময়দানের কর্তারা তা খুব ভাল করেই জানেন। ঠিক সেই সময়ে অজিতবাবুর এই ‘যুদ্ধে’র বার্তা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। কিছুদিন আগে ভরসার লোক কমে যাচ্ছে বলে হতাশ হয়ে মাঠ করার আগ্রহ হারাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। আর আজ খারাপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ডাক দিয়ে এক ঢিলে দুই ‘পাখি মারা’-র বার্তা দিলেন আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি। প্রথমত, তিনি আর একবার পরিস্কার করে দিলেন যে, তিনি আইএফএ সচিব অনির্বানের পাশে আছেন, থাকবেন। দ্বিতীয়ত, যারা অকারণে আইএফএ সচিবের বিরোধীতা করে পরিবেশ নষ্ট করছেন তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়ে সতর্ক করে দিলেন। খুব কম কথা বলার মানুষ অজিতবাবুর এমন ঝাঁঝালো বক্তব্য অতীতে কখনও শোনা যায়নি।

সচিব অনির্বানকে জন্মদিনের কেক খাওয়ানোর পর অজিত ব্যানার্জি বলতে শুরু করেন,”আজ আমি শুধু অনির্বানের জন্মদিন হিসেবে দেখছি না। আমি যদি ভুল না করি, ১৮৫৭ সালে এই মাসেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। অনির্বানের জন্মলগ্নটাও জুন মাসে। ও একজন ফাইটার। অনির্বানকে সামনে রেখে আমরা এবার যুদ্ধ করব। কিন্তু এই যুদ্ব খারাপের বিরুদ্ধে। ভালর জন্য যুদ্ধ করব। সচিব অনির্বানের জন্মদিন থেকেই অঙ্গীকার করছি ভালর জন্য আমরা যুদ্ধ করব।”

এখানেই অজিতবাবু থেমে থাকেননি। তিনি বলতে থাকেন,”কাজ করতে গেলে ভুল হবে। তারজন্য কাটা ছেড়া না করে পাশে থাকুন। আমি বিশ্বাস করি, এই মুহূর্তে আইএফএ সচিব হিসেবে অনির্বানের বিকল্প আর কেউ নেই। বাংলার ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে অনির্বানকেই দরকার। আবার বলছি ও ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। অনির্বান একজন কান্ডারি। আমার বিশ্বাস, ওর পাশে থাকলে আইএফএ এবং বাংলার ফুটবল এগোবেই এগোবে।”

অজিতবাবুর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর সচিব অনির্বান দত্ত লিগের স্পনসর নিয়ে সুখবরটা দিলেন। অনির্বানের কথায়,”আজ আমার বিশেষ দিন। কিন্তু এতজন আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসবে ভাবতে পারিনি। আজ আপনাদের জানিয়ে রাখি,কলকাতা লিগের জন্য মোটা অঙ্কের টাকায় আমরা একটা কোম্পানিকে কমার্সিয়াল রাইটস দিয়ে দিয়েছি। সেই সঙ্গে ম্যাচ দেখানোর জন্য ওটিপি প্লাটফর্মও ফাইনাল হয়ে গিয়েছে। লিগের স্পনসরের সমস্যা মিটে গিয়েছে। এটাই আমার জন্মদিনের সেরা উপহার। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে কয়েক বছরেই আইএফএ-এর সব দেনা মিটিয়ে ফেলতে পারবো।”

এদিন প্রয়াত পি কে ব্যানার্জির ৮৮ তম জন্মদিন পালন করেন আইএফএ কর্তারা। সচিব অনির্বানের কেক কাটার আগে পি কে ব্যানার্জির জন্মদিনে কেক কেটে সম্মান জানান অজিত ব্যানার্জি সহ আইএফএ কর্তারা।