◆১৫ ফেব্রুয়ারি ইডেনে ক্রিকেটারদের শুভেচ্ছা জানানোর পর বাংলা দলের কোচ,অধিনায়ক এবং সিএবি সভাতির সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,২১ ফেব্রুয়ারি : রনজি ট্রফি এবং সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার ব্যর্থতায় প্রচন্ড বিরক্ত রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এতটাই তিনি বিরক্ত যে,নাম না করে CAB ও IFA কর্তাদের ধিক্কার জানালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শুধু তাই নয়, ‘কোটার’ প্লেয়ারদের খেলানোর অভিযোগও করলেন মন্ত্রী।
আজ, ভাষা দিবসে মোহনবাগান ক্লাবে স্পোর্টস লাইব্রেরি উদ্বোধন করতে এসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে CAB ও IFA কর্তাদের ধিক্কার জানালেন।

ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,” পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর জন্য তিন প্রধান ক্লাবকে টাকা দিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও অন্য ক্লাব, অ্যাসোসিয়েশনকেও টাকা দিয়েছেন। সব খেলার পাশে আছেন। বাংলার ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য সরকার সব রকম ভাবে সাহায্য করছে। কিন্তু মাঠে তো খেলতে হবে প্লেয়ারদের। ৩৩ বছর পর আমাদের সামনে রনজি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল। আমরা সবাই ইডেনে গিয়ে প্লেয়ারদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বাংলা কিন্তু হেরে গিয়েছে। পরে শুনলাম, এই মরসুমে রনজিতে বাংলা দলে নাকি ৭ জন ওপেনারকে খেলানো হয়েছে। আরও অবাক কান্ড, রনজি ফাইনালে এমন এক ওপেনারকে খেলানো হল, যার ক্লাব স্তরে কোনও ভাল পারফরম্যান্স নেই। কোটার প্লেয়ার। এই সব শুনলে খারাপ লাগে, দূঃখ হয়।”

রনজির ব্যর্থতা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সন্তোষ ট্রফি নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন,”ফুটবল বাঙালির গর্ব। বাঙালির রক্তে ফুটবল। অথচ সন্তোষ ট্রফিতে সবার শেষে বাংলা। কেউ বলছে এই ক্লাবের কোটার ফুটবলার, আবার কেউ বলছে ওই ক্লাবের কোটার ফুটবলার দলে ঢুকেছে। এখানেও নাকি সেই কোটার প্লেয়ার। যে কোচ গত বছর সন্তোষ ট্রফিতে বাংলাকে ফাইনালে তুলল সেই বাদ পড়ে গেল! আজ ফুটবল, ক্রিকেটে বাংলা কোথায় গিয়ে নেমেছে। ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে আমাকে যখন কেউ জিজ্ঞাসা করে আমার লজ্জা করে না? এসব দেখে দূঃখ হয়। এ কোন বাংলা? কোন প্রশাসক যেখানে বছরের পর বছর ক্রীড়াক্ষেত্র আঁকড়ে থাকবে আর প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা সুযোগ পাবে না। আমাদের ভাবতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। ” নাম না করে তিনি CAB ও IFA কর্তাদের ধিক্কার জানালেন তা বলাই বাহুল্য।

মোহনবাগানের স্পোর্টস লাইব্রেরির উদ্বোধনের ১৫ মিনিট আগে সৃঞ্জয় বসুও বাংলা রনজি দলের ওপেনার নিয়ে টিপ্পনি কাটলেন। সৃঞ্জয়ের কথায়,”শুনলাম, রনজি ফাইনালে বাংলা শিবিরে তুকতাকে বিশ্বাস করে দল গড়েছিল। বাংলা শেষবার যখন রনজি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তখন ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে রনজিতে অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলির। সেই ম্যাচ জিতে বাংলা রনজি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার ফাইনালে যে ওপেনারকে রনজিতে অভিষেক করানো হল তার নাম ও পদবীর প্রথম অক্ষর S G (সুমন্ত গুপ্ত)। সৌরভেরও নাম ও পদবীর প্রথম আক্ষর SG,এই তাদের ধারণা ছিল ফাইনালে অভিষেক হওয়া ক্রিকেটারের নাম ও পদবীর প্রথম অক্ষর SG হলে নাকি বাংলা জিতবে। সব আমার শোনা কথা। এই যদি পরিস্থিতি হয়, তাহলে খুব দূঃখের।”