ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন, কলকাতা : এমনটা ভাবেনি কেউ। সামান্য সর্দি- কাশিতে ভুগছিলেন মোহনবাগানের প্রাক্তন ডিফেন্ডার সত্যজিৎ ঘোষ। রবিবার ভোরে ব্যান্ডেলের দেবানন্দপুরের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। চুঁচুঁড়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সত্যজিৎ ঘোষকে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী, কন্যা ও জামাতাকে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
তাঁর ময়দানে ফুটবল শুরু রেলওয়ে এফসি থেকে। সালটা ছিল ১৯৮০। তাঁর ফুটবল দক্ষতা সবার নজরে আসে। মোহনবাগানে সই করেন ১৯৮২ সালে। ‘৮৬ সাল পর্যন্ত সুব্রত ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে বাগানের রক্ষণ সামলেছেন। ১৯৮৬ সালে নেহেরু কাপের জন্য ভারতীয় দলে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ঘরোয়া লিগে রাজস্থানের বিরুদ্ধে মারাত্মক চোট পান। তারপর থেকেই নিজের সেরা ছন্দে ফিরতে পারেননি সত্যজিৎ ঘোষ। পরে যদিও ১৯৮৯ সালে ফের মোহনবাগানে সই করেন। ১৯৯৩ সালে অবসর নিয়েছিলেন।
সত্যজিৎ ঘোষের মৃত্যু, ময়দানে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। একদা তাঁর সতীর্থ সুব্রত ভট্টাচার্য বলছিলেন,” সত্যজিৎ বড় প্লেয়ার ছিল। হেডটা খুব ভাল ছিল। আমরা কত ম্যাচ এক সঙ্গে খেলেছি। ওর চোটটাই ফুটবল কেরিয়ারটা ছোট করে দিয়েছিল। এত তাড়াতাড়ি ও চলে যাবে ভাবতেই পারছি না।”