প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার পরিমল দে

0

◆পরিমল দে (ফাইল ছবি)◆

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার পরিমল দে। মঙ্গলবার গভীর রাতে রুবির ‘সমাদৃতা’ আবাসনের নিজের ফ্ল‍্যাটেই মৃত‍্যু হয় তাঁর। মৃত‍্যুকালে পরিমল দে-র বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দীর্ঘদিন রোগভোগে আক্রান্ত হয়ে গৃহবন্দী ছিলেন। রেখে গেলেন একমাত্র পুত্র এবং পুত্রবধুকে। বেশ কিছু বছর আগে স্ত্রীর মৃত্যুর পরেই একাকিত্বে ভুগতেন। তারপর থেকেই অসুস্থতা। কয়েক বছর ধরে স্মৃতিভ্রষ্টও হয়েছিলেন। তাঁর মৃত‍্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাংলার ফুটবল মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

বন্ধু অসীম মৌলিকের সঙ্গে পরিমল দে (ফাইল ছবি)

ইস্টবেঙ্গলের জীবনকৃতি সম্মানে সম্মানিত পরিমল দে উয়াড়ি ক্লাব থেকে ইস্টবেঙ্গলে এসেছিলেন জ্যোতিষ গুহর হাত ধরে। ক্ষিপ্র গতি,গোলার মত শট এবং ফ্রিকিক নিতে দক্ষ পরিমল দে সহজেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। ১৯৬৪ সাল থেকে ৭০ সাল পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলে খেলেছিলেন। ওই সময় লাল-হলুদ শিবিরের কর্তাদের ব্যবহারে অভিমান করে চলে গিয়েছিলেন মোহনবাগানে। দুবছর মোহনবাগানে খেলে ১৯৭৩ সালে আবার ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসেন তিনি। সেই বছরই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলে ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছিলেন।

ময়দানে তিনি পরিচিত ছিলেন জংলা নামে। স্বাধীন ভারতে বিদেশি ক্লাবের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম বড় সাফল্য ছিল ইরানের পাস ক্লাবের বিরুদ্ধে জয়। আর এই ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। ইডেনের সেই ম‍্যাচে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। স্বপন সেনগুপ্তর বাড়ানো বল ধরেই গোল করে নায়ক হয়েছিলেন পরিমল দে।

বাংলার হয়ে একাধিক ট্রফি জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। কাজল মুখার্জি,শান্ত মিত্র,প্রশান্ত সিনহা,স্বপন সেনগুপ্ত, থঙ্গরাজদের সমসাময়িক সময়ে পরিমল দে ছিলেন নায়ক। ১৯৬৬ সালে শিল্ড ফাইনালে বিএনআর এর বিরুদ্ধে গোল করার পরে দর্শকরা কাধে করে ক্লাব তাঁবুতে নিয়ে এসেছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here