১৩ বছর পর ফের AIFF সভাপতি হতে চলেছেন বাঙালি

0

◆কল‍্যাণ চৌবে◆

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : অতীতে ভারতীয় ফুটবল প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে বসেছিলেন এম দত্ত রায় এবং প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। তবে এই পদে টানা ২০ বছর ছিলেন প্রিয়বাবু। তারপর প্রফুল প‍্যাটেল ছিলেন ১৩ বছর। প্রফুল প‍্যাটেলের সময় সীমা শেষ করেও অন‍্যায় ভাবে পদ আগলে বসেছিলেন। তাঁরপর ওই পদে বসার কথা ছিল সুব্রত দত্তর। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সব কিছুই ভেস্তে গেলেও এআইএফএফের সর্বোচ্চ পদ – সভাপতি পদে বসতে চলেছেন আর এক বাঙালি কল‍্যাণ চৌবে। প্রাক্তন ফুটবলার এবং বিজেপির সক্রিয় কর্মী।

AIFF -এর ৮৫ বছরের ইতিহাসে কল‍্যাণ চৌবে প্রথম, যিনি প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে সভাপতি হতে চলেছেন। অতীতে দেশের কোনও ফুটবলার ভারতীয় ফুটবল প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে বসার কখনও সুযোগ পাননি। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ও কল‍্যাণ চৌবে – এই দুই বাঙালির মধ‍্যে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। ১) প্রিয়রঞ্জন ও কল‍্যাণ বাঙালি হলেও এঁরা কখনও বাংলা অর্থাৎ আইএফএ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেননি। প্রিয়রঞ্জন উওমেন্স এফ এ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। আর বিহার তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। কল‍্যাণ প্রতিনিধিত্ব করছেন গুজরাট থেকে। সমর্থন করছে অরুনাচল প্রদেশ।
২) প্রিয়রঞ্জন সমর্থন পেয়েছিলেন কংগ্রেস তথা কেন্দ্রীয় সরকারের। আর কল‍্যাণ পুরো সমর্থন পাচ্ছেন বিজেপি সরকারের।

প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি (ফাইল ছবি)

এঁদের মধ‍্যে মিল থাকলেও অমিলও আছে। যেমন, প্রিয়রঞ্জন ছিলেন রাজনীতিবিদ। আর কল‍্যাণ হলে প্রাক্তন ফুটবলার এবং রাজনৈতিক ব‍্যক্তিত্ব। অমিল আরও একটা আছে। প্রিয়বাবু যখন এআইএফএফ সভাপতি হলেন তখন কিন্তু ভোটে লড়াই করে তাঁকে আসতে হয়নি। তিনি ছিলেন সিলেক্টেড। আর কল‍্যাণকে ভোটে লড়াই করে আসতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রিয়বাবুর ২০ বছরের সভাপতি পদে একবার মাত্র ভোটে লড়াই করতে হয়েছিল তাঁকে। সেই একমাত্র ভোটে প্রিয়বাবু লড়াই করেছিলেন আইএফএ-এর ত‍ৎকালীন সচিব রঞ্জিত গুপ্তর সঙ্গে। সেই ভোটে জিতেছিলেন প্রিয়রঞ্জন।

স্ত্রী সোহিনীর সঙ্গে কল‍্যাণ (ফাইল ছবি)

শুক্রবার এআইএফএফ (অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন) – এর নির্বাচন। বড় ধরনের অঘটন না ঘটলে কল‍্যাণের সভাপতি হওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কল‍্যাণকে লড়াই করতে হচ্ছে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়ার সঙ্গে। কিন্তু বাইচুংয়ের জেতার কোনও সুযোগ নেই। সূত্রের খবর, ৩৪ টি রাজ‍্যের মধ‍্যে ২৮টি রাজ‍্য কল‍্যাণকেই সমর্থন করছে। তবে কয়েকটা ভোট নাকি বাইচুংয়ের দিকে ঘুরেছে। ভাইচুং একাই লড়াই করছেন। অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে। সমর্থন রয়েছে রাজস্থান ফুটবল সংস্থার। তবে ভাইচুংয়ের নিজের রাজ্য সিকিমই তাঁকে সমর্থন করেননি।

অন‍্যদিকে, কল‍্যাণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাত ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে লড়ছেন। তিনি নিজেও বিজেপি-র সক্রিয় সদস্য। তাঁকে সমর্থন করছে অরুণাচল প্রদেশ, যেখান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু রয়েছেন। ফলে রাজনৈতিক ভাবে দেশের শাসক দলের সমস্ত সমর্থন পাবেন তিনি। তাই বড় ধরনের অঘটন না ঘটলে কল‍্যাণই ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here