ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,২ ডিসেম্বর : মোহনবাগান ক্লাব প্রশাসন থেকে চলেই গেলেন সদ্য প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু। মঙ্গলবার সচিব পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার এটিকে মোহনবাগানের ডিরেক্টর পদ থেকেও সরে দাঁড়ালেন সৃঞ্জয় বসু। তাঁর জায়গায় ডিরেক্টর পদে এলেন সৃঞ্জয়ের ভাই সৌমিক বসু। আর যতদিন না ক্লাব নির্বাচন হচ্ছে ততদিন সচিবের দায়িত্ব সামলাবেন সহ সচিব ও প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চ্যাটার্জি। বৃহস্পতিবার মোহনবাগান ক্লাবের কার্যকরি সমিতির সভায় এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সভাতেই সৃঞ্জয় বসুর পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়।
মোহনবাগান ক্লাবের সচিব পদ থেকে সৃঞ্জয়ের ইস্তফা বা এটিকে মোহনবাগানের ডিরেক্টর পদ থেকে নিজেকে কেন সরিয়ে নিলেন সৃঞ্জয়? তাই নিয়ে ময়দানে চর্চা তুঙ্গে। কেউ কেউ মনে করছেন, ক্লাবের সদস্যদের একটা অংশ সৃঞ্জয়ের বিরোধিতা করছে। পাড়ায় পাড়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়েছে। সামনেই ক্লাব নির্বাচন। তাই সরে দাঁড়ালেন। আবার ময়দানের একটা বড় অংশ মনে করছে,কিছু সদস্য-সমর্থকরা বিরোধিতা করেই। আগের নির্বাচনের সময়ও এই বিরোধিতা আরও বেশি ছিল। সদস্য সমর্থকদের বিরোধিতার জন্য ক্লাব সচিব পদ থেকে চলে যাওয়ার মানুষ সৃঞ্জয় নয়। আসল কারণ নাকি রাজনৈতিক চাপ। তার জন্যই নাকি সৃঞ্জয় সরে দাঁড়ালেন। হঠাৎ কেন তাঁর উপর রাজনৈতিক চাপ আসছে তার সঠিক ব্যাখ্যা এখনও জানা যায়নি। তবে তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে (সংবাদপত্র) কিছু রদবদল হওয়ার সঙ্গে মোহনবাগান সচিব পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘটনা নাকি ‘রিলেটেড’ বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

তবে এদিন রাজনৈতিক চাপের প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়ে মোহনবাগানের অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে সৃঞ্জয় সরে দাঁড়িয়েছে । ওঁর সঙ্গে ও ক্লাব সভাপতি স্বপন সাধন বসুর সঙ্গেও এই নিয়ে আমার কথা হয়েছে। এটা ওঁদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত। এখানে কোনও রকম রাজনৈতিক চাপ নেই। ক্লাব তো আর সমাজের বাইরে নয়। তা ছাড়া এখন নেটমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী। যে কেউ যা কিছু বলতে পারেন। এখানে কোনও রাজনৈতিক চাপ নেই। সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি সব দলের সদস্য মোহনবাগান ক্লাবে আছে।” উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবারের ক্লাবের এই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ রায়, মলয় ঘটক। এঁরা দু’জনেই মোহনবাগানের সহ-সভাপতি।
আগামী তিন মাসের মধ্যে ক্লাবের নির্বাচন হবে। তার জন্য নির্বাচনী বোর্ড তৈরি হয়েছে। জানা যায়, এই বোর্ডে আছেন বিচারপতি অসীম রায়, কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক, প্রাক্তন ফুটবলার শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিভিসি কর্তা সৌরেন্দ্র কুমার দত্ত এবং উমাপতিকুমারের নাতনি সোমা বসু।