চলে গেলেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রণব গাঙ্গুলি

0

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ফের মৃত‍্যুর খবর। বুধবার কাক ভোরে চলে গিয়েছেন আইএফএ-এর প্রাক্তন সচিব নন্তু মিত্র। আর শুক্রবার চলে গেলেন মোহনবাগানের ‘ঘরের ছেলে’ প্রণব গাঙ্গুলি। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছ, প্রণব গাঙ্গুলি সুস্থই ছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বুকে ব‍্যাথাও হচ্ছিল। শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত‍্যু হয় প্রণব গাঙ্গুলির। মৃত‍্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

প্রণব গাঙ্গুলি শান্তিনিকেতনের পাঠভবনের ছাত্র ছিলেন। তখন থেকেই ফুটবলের প্রতি টান ছিল। ইন্টারস্কুল টুর্নামেন্টে নজর কেড়েছিলেন। শান্তিনিকেতন থেকে হাওড়ায় ফিরে আসার পর দীনবন্ধু স্কুলে ভর্তি হন। ময়দানে তাঁর আত্মপ্রকাশ কলকাতা পাওয়ার লিগের মধ‍্যে দিয়ে।

১৯৬২ সালে হাওড়া ইউনিয়ন সই করেন। টানা পাঁচ বছর হাওড়া ইউনিওনে খেলার পর ১৯৬৭ সালে সই করেন তাঁর প্রিয় মোহনবাগানে। ১৯৬৭ থেকে টানা আট বছর মোনবাগানে খেলেছিলেন প্রণব গাঙ্গুলি।

লম্বা, সুদর্শন, ফর্সা, সাহেবের মতো দেখতে ছিলেন। খেলতেন লেফট উইংয়ে। যেমন গতি, তেমনি তাঁর শটে ছিল মারাত্মক জোর। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে অনেক ট্রফি জিতেছেন। এর মধ‍্যে উল্লেখযোগ্য হল, ১৯৬৯ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনাল। ইস্টবেঙ্গলকে ওই ম‍্যাচে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগান। ম‍্যাচে দুটি গোল তিনিই করেছিলেন।

কোচ অমল দত্তর খুব পছন্দের ফুটবলার ছিলেন। ওই সময় তাঁর ৪-২-৪ ছকে প্রণব গাঙ্গুলি ছিলেন প্রধান কান্ডারী।

১৯৬৯ সালেই সন্তোষ ট্রফিতে দুরন্ত খেলেছিলেন। গোল করেছিলেন চারটি। সেই বছর বাংলা সন্তোষ ট্রফিতে চ‍্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ওই বছরেই রোভার্স খেলতে গিয়ে হাতে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন। অস্ত্রোপচার করে হাতে ইস্পাতের প্লেট বসাতে হয়েছিল। পরবর্তীকালে ইস্পাতের প্লেট নিয়েও খেলে গিয়েছিলেন ময়দানের হ‍্যান্ডসম ফুটবলার।

ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর একবার ক‍্যালকাটা ফুটবল ক্লাবে কোচিংও করেছিলেন। গত বছর মোহনবাগান দিবসে প্রণব গাঙ্গুলিকে লাইফটাইম অ‍্যাচিভমেন্ট পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানিয়েছিলেন মোহনবাগান কর্তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here