ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা জমা দিলেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন বাইচুং ভুটিয়া। একই সঙ্গে বাংলা থেকে AIFF -এর সভাপতি পদের মনোনয়নপত্র জমা দিলেন প্রাক্তন ফুটবলার ও বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে এবং আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি।
AIFF-এর সভাপতি পদের নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী যারা মনোনয়নপত্র জমা করেছেন তাঁরা হলেন, সাজি প্রভাকরণ (সভাপতি, দিল্লি এফএ), এন এ হরিশ (সভাপতি,কর্ণাটক এফ এ ও বিধায়ক), ইউজেন লিংডো (প্রাক্তন ফুটবলার ও ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির বিধায়ক), ভালঙ্কা আলেমাও (চার্চিল ব্রাদার্স)।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত COA যে নির্বাচনী খসড়া তৈরি করেছিল তাতে পরিস্কার উল্লেখ আছে যে, রাজ্য সংস্থার পাশাপাশি ভারতের প্রাক্তন ফুটবলাররাও AIFF-এর নির্বানে লড়াই করতে পারবেন। মনোনয়ন জমা করার সময় ছিল ১৭ অগাস্ট থেকে ১৯ অগাস্ট পযর্ন্ত। ফিফা AIFF কে নির্বাসিত করলেও COA-এর প্রস্তাবিত নির্বাচন বিধি কিন্তু এখনও পযর্ন্ত বাতিল হয়ে যায়নি। এই নির্বাচন বিধি থাকবে, নাকি বদল হবে তা জানা যাবে আগামী সোমবার সর্বোচ্চ আদালত রায়ে কি বলছে। কিন্তু কোনও ঝুঁকি না নিয়ে COA-এর নির্বাচন বিধি মেনেই আজ,শুক্রবার (১৯ অগাস্ট) মনোনয়ন জমা করলেন ওঁরা।
বাইচুং ভুটিয়া মনোনয়ন জমা করেছেন প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে। কিন্তু ভারতের প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবে মনোনয়ন জমা করেছেন গুজরাট সংস্থার হয়ে। বাইচুংয়ের থেকে নাকি কল্যাণ একটু এগিয়ে আছেন। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দু’টি কারণ আছে। প্রথমত, কল্যাণ কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির সদস্য। তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাটের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। পাশাপাশি অরুণাচল কল্যাণকে সমর্থন করছে। এই অরুনাচলের বাসিন্দা বর্তমানে আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। এই কিরণ রিজেজুর সঙ্গে কল্যাণের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ফলে রাজনৈতিক সমর্থন কল্যাণের দিকে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
দ্বিতীয়ত, বাইচুং প্রাক্তন ফুটবলারের কোটায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কল্যাণ সেখানে প্রাক্তন ফুটবলার হয়েও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন গুজরাট রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে। ফুটবলারদের ভোটাধিকার বাতিল হয়ে গেলে বাইচুংয়ের আর লড়াই করার অপশনটাই আর থাকবে না। এই দুই প্রাক্তন ফুটবলারের পাশাপাশি সভাপতির লড়াইয়ে আছেন দিল্লির সাজি প্রভাকরণ ও বাংলার আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জিও। মেঘালয় থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন ইউজেন লিংডো। তাঁকেও লড়াই থেকে সরিয়ে রাখা যাচ্ছে না।
এদিন মনোনয়ন জমা করার পর সংবাদ সংস্থাকে বাইচুং ভুটিয়া বলেছেন, “প্রাক্তন ফুটবলারদের প্রতিনিধি হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। আমি মনে করি প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে আমি ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে অবদান রাখতে চাই। যখন থেকে ফেডারেশন গঠিত হয়েছে, ভারতীয় ফুটবলের প্রশাসনিক পদে খুব কম ফুটবলারই থেকেছেন। এআইএফএফ-এ সবসময়ই নন-ফুটবলাররা ছিলেন। সুতরাং, এটি ভারতীয় ফুটবলের জন্য কাজ করার এবং ফুটবলকে আরও গুরুত্ব-সহকারে বোঝার সুযোগ এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর ভারতীয় ফুটবলে কাজ করার একটা সুযোগ মিলবে এই আশাকরি।”