ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : “মহমেডান তুমকো লাখো সেলাম….।” তিনের দশকে এই সাদা-কালো জার্সি বাহিনী ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ সাল পযর্ন্ত পরপর পাঁচবার কলকাতা লিগ জয় করে বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলে উন্মাদনার সৃষ্টি করেছিল। সেই সময় কলকাতার পার্ক স্ট্রিট,পার্ক সার্কাস এলাকায় বিভিন্ন ঘরোয়া মেহফিলে “মহমেডান তুমকো লাখো সেলাম” গানটি গাওয়া হত। সেই গান আর শোনা যায় না, হারিয়ে গিয়েছে এত বছরের মহমেডানের ব্যর্থতার নিকশ কালো অন্ধকারে। হয়তো আর খুজেও পাওয়া যাবে না সেই গান। কিন্তু নতুন করে, স্বমহিমায় আবার যেন ফিরে এল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব মহমেডান। দীর্ঘ ৮৭ বছর পর আবার লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করল মহমেডান।
গত দুই বছর লিগ জিতলেও আইএফএ-এর লিগ ফর্মাটের জন্য ময়দানের কেউ কেউ মহমেডানকে টিপ্পনি কেটেছিল। এবছর কিন্তু পূর্ণাঙ্গ লিগে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানকে টেক্কা দিয়ে দাপটের সঙ্গে খেলে কলকাতা লিগ জিতল মহমেডান।
শুক্রবার ছিল মহমেডানের লিগের শেষ ম্যাচ। কলকাতা লিগ জিততে হলে এদিন প্রতিপক্ষ মোহনবাগানকে হারাতেই হবে। এমন পরিস্থিতিতে মাঠে নেমে মোহনবাগানকে অনায়াসে ২-০ গোলে হারিয়ে লিগ খেতাব ঘরে তুলল মহমেডান। ম্যাচে দুটি গোল করেছেন রেমসাঙ্গা ও ডেভিড। ১৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্টে লিগ শেষ করল সাদা-কালো ব্রিগেড।
ডেভিড লালানসাঙ্গা ১৭ টি ম্যাচে ২১ টি গোল করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার উপরে। ডেভিডের ধারে কাছে কেউ নেই। ম্যাচ শেষে ডেভিড বলেন,”গোল করতে পেরে ভাল লাগছে। সবটাই আমি মাকে উৎসর্গ করছি। আরও ভাল লাগছে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।”
এই বছরই মহমেডানের সচিব পদে এসেছেন ময়দানের রাজু ওরফে ইসতিয়াক আহমেদ। ক্লাবের এই সাফল্য সবার কৃতিত্ব বলে জানালেন। ক্লাবের পক্ষ থেকে ফুটবলারদের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেন মহমেডান সচিব।