৭৪ বছর পর শিল্ড ফাইনালে জর্জ, ৪ গোলে হার মহমেডানের

0

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৬ ডিসেম্বর : ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে জর্জ টেলিগ্রাফ। বুধবার কল‍্যাণী স্টেডিয়ামে আইএফএ শিল্ডের সেমিফাইনালে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল জর্জটেলিগ্রাফ। প্রথমে পিছিয়ে পড়েও জয় ছিনিয়ে নেয় রঞ্জন ভট্টাচার্যের ছেলেরা। জর্জের হয়ে গোল দুটি করেন সাদ্দাম হোসেন মন্ডল ও স্ট‍্যানলি ইজে। ইউনাইটেডের গোলদাতা বাসুদেব মান্ডি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৭৪ বছর পর আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে পৌঁছল জর্জ। ১৯৪৬ সালে শিল্ডের ফাইনালে উঠেছিল জর্জ টেলিগ্রাফ ও মোহনবাগান। কিন্তু সেই সময় দাঙ্গা শুরু হওয়ায় সেই বছর শিল্ডের ফাইনাল ম‍্যাচ করা যায়নি। “সিনিয়রদের কাছে শুনেছি,দাঙ্গার জন‍্য সেই বছর শিল্ডের ফাইনাল ম‍্যাচ করা যায়নি ঠিকই, কিন্তু যুগ্মভাবে মোহনবাগান, জর্জকে চ‍্যাম্পিয়নও ঘোষণা করা হয়নি। আর একবার ফাইনালে পৌঁছলাম। চ‍্যাম্পিয়ন হতে পারলে ইতিহাস হবে।” কথা গুলি বলছিলেন জর্জ টেলিগ্রাফের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি অধিরাজ দত্ত।

জর্জটেলিগ্রাফ যখন ফাইনালে পৌঁছল, তখন রিয়েল কাশ্মীরের কাছে নাস্তানাবুদ মহমেডান স্পোর্টিং। বুধবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ১২৩ তম আইএফএ শিল্ডের সেমিফাইনালে রিয়েল কাশ্মীরের কাছে চার গোল হজম করল মহমেডান স্পোর্টিং। প্রথমার্ধে গোল শূন‍্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে নাস্তানাবুদ হতে হল সাদা-কালো ব্রিগেডকে। কাশ্মীরের লুকমান একাই মহমেডানকে শেষ করে দিলেন। ৫৯,৬৬ ও ৮৭ মিনিটে তিন তিনটি গোল করে হ‍্যাট্রিক করেন লুকমান। ৯১ মিনিটে ম‍্যাসন রবার্টসন দলের চতুর্থ গোলটি করেন।

জর্জ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন মহমেডান আছে মহমেডানেই। শেষ দুই দশক ধরেই মহমেডানে কোচ,কর্তাদের গন্ডগোলের ধারাবাহিকতা এখনও অব‍্যহত। আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশন লিগে কোচ ইয়ান ল -কে নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়। কোচের পদ থেকেও ইয়ান লকে সরিয়ে দেন কর্তারা। পরে স্পেন থেকে নতুন কোচ আনা হয়। কিন্তু স্পেনের এই কোচের সঙ্গেও কর্তাদের ঝামেলা। শিল্ডের শেষ তিন ম‍্যাচ থেকে কোচকে মাঠেই নিয়ে যায় না মহমেডান কর্তারা। তাঁরা নাকি এবার ট্রেভর জেমস মর্গ‍্যানকে কোচ করে আনার চেষ্টা করছেন। এত ঘন ঘন কোচ বদলের ঘটনায় বিরক্ত মহমেডানের বেশ কিছু ফুটবলাররাও। ক্লাবে কর্তা বদল হলেও পুরনো অভ‍্যাস বদলানো যায়নি। কোচ বদল নয়, আগে মহমেডান কর্তাদের মানসিকতার বদল দরকার। বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? মহমেডান সচিব পদে বসে ওয়াসিম আক্রম সমর্থকদের অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তাঁর কি হাত বাধা? ক্লাবে এক সিনিয়র এক কর্তা আছেন। তিনিই নাকি সব “ঘোঁট” পাকাচ্ছেন! সব জেনেও ওয়াসিম কেন চুপ করে আছেন? তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করেও মহমেডান সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here