ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন, কলকাতা, ১১ মে : করোনার দাপট বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে বেড নেই। অক্সিজেনের অভাব। শরীর খারাপ করলে কোথায় যাবেন? বাড়ির বাইরে বেরোনোটাও ঝুঁকিপূর্ণ। তাহলে? যদি কোনও করোনা উপসর্গ নিয়ে কিছু জানতে চান তাহলে বাড়িতে বসেই ডাক্তারকে ফোন করে যাবতীয় তথ্য,পরামর্শ পেতে পারবেন। এই ব্যবস্থাটাই শুরু করে দিয়েছে শতাব্দী প্রাচীন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
আমজনতার সাহায্যর জন্য ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ৫৮ জন ডাক্তার নিয়ে কোভিড হেল্পলাইন শুরু করেছে। ক্লাবে এই হেল্পলাইনে একটি প্যানেল আছে। করোনা পরামর্শ পেতে এই ৫৮ জন ডাক্তারের যাকে খুশি ফোন করা যেতে পারে। এই ৫৮ জন ডাক্তারের নাম ও তাঁদের ফোন নম্বর ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রকাশ করেছে। ক্লাব সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ডাক্তারদের ফোন করে করোনা সম্পর্কিত পরামর্শ নেওয়ার জন্য কোনও টাকা দিতে হবে না। একেবারেই বিনামূল্যে পরামর্শ নিতে পারবেন যে কেউ।
এদিকে, করোনার মধ্যেও আসন্ন আইএসএলের দল কেমন হবে বা শ্রীসিমেন্টের চুক্তিপত্রে দেবব্রত সরকাররা সই করবেন কিনা তা নিয়েও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে চাপা টেনশন থেকেই গিয়েছে। ক্লাব সূত্রের খবর, কর্তারা ফের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। শ্রী সিমেন্ট একাধিকবার জানিয়েছে, চুক্তিপত্রে সই করার আগে কোনও বৈঠকে বসতে নারাজ। বড়জোর ক্লাব কর্তারা মেল করে চুক্তিপত্রের ধারাগুলি বিবেচনার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। গতমাসে হরিমোহন কলকাতা শহরে দুই সপ্তাহ ছিলেন। ক্লাব কর্তারা তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ করলেও হরিমোহন বাঙ্গুর এড়িয়ে গিয়েছেন।
দুই শিবির নিজেদের অবস্থানে অনঢ়। কিন্তু দল গঠনে সমস্যা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি জটিল দেখে মুশকিল আসানের লক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এখন সেই মূখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছেন। বাঙ্গুর গোষ্ঠীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে দিয়েছিলেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললে বাঙ্গুর গোষ্ঠী না করবেন না। এই মূহুর্তে করোনা মোকাবেলায় প্রচন্ড ব্যস্ত মূখ্যমন্ত্রী। কাজেই এখন চুক্তি নিয়ে কথা বলা যাবে না। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সময় দিলেও বাঙ্গুর গোষ্ঠীকে আদৌ অনুরোধ করবেন মূখ্যমন্ত্রী? তবে ক্লাব কর্তারা আশাবাদী, সমস্যা মিটে যাবে। চুক্তিবদ্ধ এদেশীয় ফুটবলারদের একটু অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। এখনই যেন ক্লাব ছেড়ে না যান তাঁড়া।
এদিকে, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হরিমোহন বাঙ্গুর বলেছেন,”ইস্টবেঙ্গল ক্লাব নিয়ে আমি আদৌ নিশ্চিত নই। ক্লাবের সমর্থকরা অপেক্ষা করে আছেন। এই অবস্থায় সমর্থকদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিতে পারবো না। আজ ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের অবহেলার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। টার্মশিটে সই করতে এক মিনিট সময় লাগে। সেটা না করে ৬ মাস ধরে ঝুলিয়ে রেখেছে। এভাবে কিভাবে কাজ করা যায়?”