ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : নিজের শহর চন্দননগরে ফিরতেই শুভেচ্ছায় ভাসলেন এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়ী পিয়ালি বসাক। চন্দননগর পৌরসভার পক্ষ থেকে পিয়ালিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। একই দিনে বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবেও তাঁকে সংবর্ধনা দেয় সিনিয়র মাউন্টেন লাভার্স ফোরাম ও কাঁচরাপাড়া সহযাত্রী ফাউন্ডেশন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২২ মে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন ৩১ বছরের শিক্ষিকা পিয়ালি বসাক। ২০১৯ সালে এভারেস্ট জয়ের উদ্দেশ্যে পাহাড়ে উঠেও সফল হতে পারেননি। কিন্তু তিন বছর পর এভারেস্ট ও লোৎসে শৃঙ্গ জয় করলেন চন্দননগরের কাঁটাপুকুরের বাসিন্দা পিয়ালি।
কলকাতা প্রেস ক্লাবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে পিয়ালি বলছিলেন,”আমার একটাই লক্ষ্য ছিল অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট শৃঙ্গে পৌঁছবো। সেই ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। যাত্রাপথ শুরু করেও ছিলাম। তবে শেরপারা সঙ্গে অক্সিজেন নিয়েছিল। আমাকেও জোর করে দিয়েছিল। কিন্তু আমি ব্যবহার করিনি। আবহাওয়া ভাল ছিল না। তুষারঝড় চলছিল। তারভধ্যেও শৃঙ্গের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম। উপরে যত উঠছি আবহাওয়া ততই খারাপ হচ্ছিল। শেরপাদের অনুরোধে তখন অক্সিজেন নিতে বাধ্য হলাম। এভারেস্ট শৃঙ্গে পৌঁছলাম ঠিকই কিন্তু অক্সিজেন ছাড়া পৌঁছতে পারলাম না। এটাই দূঃখের।”
এর আগে পিয়ালি অমরনাথ থেকে মানাসুল,ধৌলগিরি জয় করেছেন। অঙ্ক নিয়ে স্নাতক পাশ করার পর তিনি এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। কিন্তু পাহাড় জয় করার অদ্ভুৎ নেশা তাঁকে তাড়া করে বেড়ায়। সমস্যা হল এই শৃঙ্গ জয় করার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। এবারের এভারেস্ট ও লোৎসে শৃঙ্গ অভিযানের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। যে কোনও পর্বতারোহীক নিজের উদ্যোগেই শৃঙ্গ অভিযানের অর্থের ব্যবস্থা করতে হয়। এগিয়ে আসে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা।
এদিকে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করে বাড়ি ফিরতেও প্রচুর বাধার সামনে পড়তে হয় পিয়ালিকে। কাঠমান্ডু থেকে রক্সৌল পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। যার ফলে ট্রেনে উঠতে পারেননি। কারণ পাহাড়ের রাস্তায় ধস নামায় জ্যামে আটকে যায় পিয়ালির গাড়ি। পরে রক্সৌলে ওড়িশাগামী বাসে করে ৫৬ ঘন্টা জার্নি করে আজ,শনিবার বাড়ি ফিরেছেন পিয়ালি।