◆চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বেলেঘাটা বালক বৃন্দর ফুটবলারদের উল্লাস◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : কলকাতা লিগের একেবারে নিচু তলার চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ দেখতে মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে যেভাবে মাঠে এসে খেলা দেখলেন তাতে আইএফএ-এর গুড ফিলিংস হতেই পারে। শনিবার,বিজি প্রেসের মাঠে পঞ্চম ডিভিশনের ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নশিপের খেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল দুই দলের সমর্থকরা। কর্ণার নিতে যাচ্ছে হেস্টিংসের এক ফুটবলার। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এলেন সেই ফুটবলারের মা। ছেলেকে বলতে থাকলেন,”বলটা ঠিক ভাবে তোল। বক্সের এয়ারে রাখ।” ময়দান এমন দৃশ্য কবে দেখেছে মনে পড়ে না।
রেফারি, মাউন্টেন পুলিশের কাছে গিয়ে বলছেন,”অ্যাসিসটেন্ট রেফারিকে দুই ক্লাবের কর্তা বিরক্ত করছে। প্লিজ একটু দেখুন।” টান টান উত্তেজনার ম্যাচে দর্শকরাই যেন এদিন ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ।’ বাংলার এই ফুটবল যেন আইএফএ-এর কাছে আত্মতৃপ্তির অনুশীলন।
মাঠের দর্শকের উপস্থিতি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি। সহসভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস,সহসচিব রাকেশ ঝাঁ (মুন), নজরুল ইসলামকে নিয়ে মাঠে এসে ছোটদের খেলা উপভোগ করলেল অজিতবাবু। বলছিলেন,” এটাই তো চাই। কে বলেছে বাংলার ফুটবল মরে গেছে?”
আইএফএ-এর বিশেষ কাজে আটকে যাওয়ায় সচিব অনির্বান দত্ত মাঠে পৌঁছতে না পারলেও টাস্কফোর্সের সঙ্গে ঘনঘন যোগাযোগ রেখেছিলেন। দর্শক সমাগমে অনির্বানও ভীষণ খুশি। তিনি বলছিলেন,”শুধু ক্রিকেটেই ছেলেদের নিয়ে মায়েরা মাঠে আসেন না। ফুটবলেও আসেন। আবার প্রমাণ হল। এই দৃশ্য বাংলার ফুটবলে ভাল বিজ্ঞাপন।”
এদিন, পঞ্চম ডিভিশনের ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে যে জিতবে সেই চ্যাম্পিয়ন হবে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তেজনার মধ্যে ম্যাচ শুরু হয়। বেলেঘাটা ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও হাল ছাড়েনি হেস্টিংস ক্লাবের ছেলেরা। দুরন্ত লড়াই করে ২-২ করে চমৎকার ভাবে ম্যাচে ফিরতেই খেলা আরও জমে ওঠে।
নির্ধারিত সময় ২-২ খেলা শেষ হওয়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে খেলার নিস্পত্তি হয়। বেলেঘাটা বালক বৃন্দ টাইব্রেকারে হারাল হেস্টিংসকে। ম্যাচ শেষ হতেই উল্লাসে মাতল বেলেঘাটা শিবির। আর পরাজয়ের যন্ত্রণা নিয়ে নিজেদের ফেস্টুন গুটিয়ে মাঠ ছাড়লেন প্রয়াত অলিম্পিয়ান শাহু মেওয়ালালের ছেলে হেস্টিংসের শীর্ষ কর্তা কিশানলাল।