ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : এমন কঠিন পরিস্থিতির সামনে, কোন বছর পড়েছেন, মনে করতে পারছেন না শতাব্দী প্রাচীন উয়াড়ী ক্লাবের কর্তারা। গত মরসুমের লিগ শেষ হওয়ার পর ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে বিদ্ধস্ত উয়াড়ী। আইএফএ তদন্ত কালীন নির্বাসনে পাঠিয়েছিল উয়াড়ীকে। কয়েক মাস পর গত রবিবার নির্বাসন থেকে মুক্তি পেলেও (উয়াড়ী কর্তারা অবশ্য এখনও বলছেন এমন ঘৃন্য কাজের সঙ্গে কখনই তারা যুক্ত ছিলেন না) ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কলঙ্ক কর্তাদের কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। গতবারের যিনি স্পনসর করেছিলেন সেই অমিতাভ গাঙ্গুলিও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত। এখনও অবশ্য অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। তদন্ত চলছে। তবে জানা গেল, এই অমিতাভ উয়াড়ী ছেড়ে এবার দল গড়তে চলে গেছেন স্বপন ব্যানার্জির কালীঘাট লাভার্স স্পোর্টস ক্লাবে। আর এক ম্যাচ ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত গোয়ান কোচ মিকি ফার্নান্ডেজও উয়াড়ী ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ফলে এই বছর উয়াড়ীর না আছে টাইটেল স্পনসর, না আছে ভাল কোচ, ফুটবলার। ক্লাবের অতি পরিচিত এক ব্যক্তি প্রতি মরসুমের মতোই এবার তাঁর কোম্পানির লোগো ব্যবহার করতে দিয়েছেন। তার বিনিময়ে সামান্য টাকা পাবে ক্লাব।
এই বছর উয়াড়ীর কর্তারা কোচ করেছেন একদা মোহনবাগানে খেলে যাওয়া কর্নাটকের মুরলী জোসেফকে। তাঁর আবার ‘সি’ কোচিং লাইসেন্স আছে। প্রিমিয়ার ডিভিশনের ম্যাচে ‘সি’ লাইসেন্স ডিগ্রিধারী কোচকে অনুমোদন দেয় না আইএফএ। তাই মুরলীকে দলের সঙ্গে রাখলেও উয়াড়ী সরকারি ভাবে কল্যাণীর ‘এ’ লাইসেন্স ডিগ্রিধারী স্বপন বিশ্বাসকেই কোচ হিসেবে নিয়োগ করেছে।
সোমবার সকালে রাজস্থান মাঠে অনুশীলনের শেষে মুরলী বলছিলেন, ” আমাদের সামনে মহমেডান স্পোর্টিং। অনেক শক্তিশালী টিম। তবে আমার ছেলেরাও লড়াই করবে।’
উয়াড়ীর ফুটবল সচিব ইন্দ্রনাথ পাল বলছিলেন,”গত কয়েক মাস ধরে আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই বছর কিভাবে দল তৈরি করেছি সেটা আমরাই জানি। লিগ শুরুর আগে ফুটবলারদের মাত্র চারদিন অনুশীলন করাতে পেরেছি। এই অবস্থায় শুরুতেই মহমেডানের সঙ্গে খেলে লিগ শুরু করব। আমরা সাধ্যমতো লড়াই করব। আর আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয়। আমরা খেলেই প্রমাণ করতে চাই।”
দলের যা অবস্থার কথা বললেন, তাহলে কি ধরে নেওয়া যায়, এবারের লিগে আপনাদের লক্ষ্য অবনমন বাঁচার লড়াই? প্রশ্ন শুনে ইন্দ্রনাথ পাল মুচকি হেঁসে বললেন,”খারাপ সময়ের মধ্যে আছি। যা মনে হয় বলুন। কি আর বলব! আপনার প্রশ্নের উত্তর সময় দেবে।”