ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,৫ মে : ১৯৯৩ সালে রাজ্য মিটে ৩ হাজার মিটার দৌড়ে রেকর্ড করেছিলেন জ্যোতির্ময়ী শিকদারের বোন অমিতা শিকদার। সময় করেছিলেন ১০.৩৭.১ সেকেন্ড। আর বৃহস্পতিবার,সাইয়ের মাঠে ৭০তম রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিটে এই ৩ হাজার মিটে খড়দহর মেয়ে অনন্যা রাজবংশী (মোহনবাগান) ১০.৩৭.৭ সেকেন্ড সময় করে প্রথম প্রথম স্থান অর্জন করলেন। অ্যাথলেটিক্সের ‘দ্রোণাচার্জ’ কুন্তল রায়ের ছাত্রী যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল গত ২৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন। কিন্তু সেই রেকর্ড ভাঙা তো হলই না,অমিতার রেকর্ডের কাছে এসেও ছুঁতে পারলেন না অনন্যা। কোচ কুন্তল রায় বলছিলেন,”ঠিক আছে। অনন্যা ঠিক পথেই এগোচ্ছে। আরও অনুশীলন করতে হবে। ভেঙে পড়ার কিছু নেই।” এই ইভেন্টে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে সুমিত্রা মাহাতো (ইস্টবেঙ্গল) ও নিশা কুমারী সাউ (ইস্টবেঙ্গল)।
এদিন সাইয়ের মাঠে শুরু হয়েছে ৭০ তম রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিট। জেলা ও ক্লাব দল মিলিয়ে
মোট ৩৮ দল ও ৭৪৩ জন অ্যাথলিট ৬টি গ্রুপে অংশ নিচ্ছেন। যার মধ্যে পুরুষ ৪৯০ এবং মহিলার সংখ্যা ২৫৩ জন।
প্রথম দিন চারটি ইভেন্টে ফাইনাল হয়েছে। ৩ হাজার মিটার ছাড়াও পুরুষদের লং জাম্পে সোনা জিতেছেন পিন্টু পাল (পুলিশ এসি), রুপো জিতেছেন পার্থ দাস (ইস্টবেঙ্গল) এবং ব্রোঞ্জ পেয়েছেন শুভঙ্কর সরকার (পুলিশ এসি)
পুরুষদের অনূর্ধ্ব-২৩ লং জাম্প বিভাগে প্রথম হয়েছেন পিন্টু রায় (দক্ষিন দিনাজপুর),দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে সৌরাশিস হালদার (নদিয়া) ও প্রশেনজিৎ রায় (শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ)।
পুরুষদের অনূর্ধ্ব- ২০ শট পুট বিভাগে প্রথম হয়েছেন চন্দননগরের সুরজিৎ সুরুল,দ্বিতীয় হাওড়ার রূপম বোদাক ও তৃতীয় হয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের সায়ন চ্যাটার্জি।
মহিলাদের ৪০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান পেয়েছেন সোনিয়া বৈশ্য (ইস্টার্ন রেল),দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছেন যথাক্রমে সুচিত্রা মাইতি (বর্ধমান) ও রিয়া হাজরা (ইস্টবেঙ্গল)।
এদিন রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিটের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার সভাপতি প্রসূন মুখার্জি, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে, কোচ কুন্তল রায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন অ্যাথলিট অনিমা ব্রহ্ম, হরিশংকর রায়, রহমতুল্লা মোল্লা, সুস্মিতা সিংহ রায় প্রমুখ।