ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,২৯ জুলাই : বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকেই টানা বৃষ্টি। তাতেও খামতি নেই ‘মোহনবাগান দিবস’। কোভিডের কারণে এবারও বিশাল অনুষ্ঠান করে ‘মোহনবাগান দিবস’ পালন করা গেল না। পুরোটাই ভার্চুয়াল। সোসাল মিডিয়ায় মোহনবাগান জনতা তাদের এই উৎসবে মেতে ওঠেন। ১৯১১ সালের ২৯ জুলাইয়ের শিল্ড ফাইনালের বিজয়ী মোহনবাগানের নানান ঘটনা, পেপার ক্লিপ,ছবি সোসাল মিডিয়ায় ঘুরছে। কলকাতার কিছু পাড়াতেও শিল্ড জয়ী ফুটবলারদের ছবিতে ফুল মালাও দেওয়া হয়।
এদিন ঘোষণা মতোই ক্লাব তাঁবুতে এবারের ‘মোহনবাগান রত্ন’ দেওয়া হল প্রয়াত গোলরক্ষক শিবাজি ব্যানার্জির স্ত্রী মালা ব্যানার্জির হাতে। ফুটবলার রয়কৃষ্ণ ও ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরণ কলকাতায় না থাকায় তাঁদের হাতে বর্ষসেরার সম্মান তুলে দেওয়া যায়নি। তবে বর্ষসেরা অ্যাথলিট বিদিশা কুন্ডুর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
মোহনবাগান কর্তা দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসু ১৯১১ সালের শিল্ড জয়ী জার্সির রেপ্লিকা প্রকাশ করলেন। আগামী ২০ আগস্ট গোষ্ঠ পালের জন্মদিন থেকে এই রেপ্লিকা মোহনবাগান জনতা কিনতে পারবেন বলে ক্লাব কর্তারা জানিয়েছেন। কোভিড প্রোটোকল মানার জন্যই এদিন ক্লাবে কোনও সদস্য-সমর্থক, সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তবে অনুষ্ঠানে সৃঞ্জয় বসু, দেবাশিস দত্ত, সত্যজিৎ চ্যাটার্জি, স্বপন ব্যানার্জি সহ একাধিক কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কলকাতা ময়দানে মোহনবাগান ক্লাবে যখন ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ১৯১১ এর মোহনবাগানের বীর ফুটবলারদের স্মরণ করা হচ্ছিল ঠিক তখনই শিলিগুড়ির মোহনবাগান মেরিনার্স বাঘাযতীন পার্কে ঘটা করে পালন করল ‘মোহনবাগান দিবস।’ এই উৎসব মঞ্চ থেকেই শিলিগুড়িতে ‘মোহনবাগান লেন’ করার দাবি করলেন মোহনবাগানের উত্তরবঙ্গর শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত অরূপ মজুমদার। তিনি জানান,”আমরা এখানকার প্রশাসনের কাছে দাবি রাখছি, শিলিগুড়ির কোনও একটা রাস্তার নাম করন করা হোক মোহনবাগান লেন নামে। পরাধীন ভারতে খেলার মাঠে বিপ্লব ঘটিয়েছিল আমাদের মোহনবাগানের বীর ফুটবলার অভিলাষ, শিবদাসরা। তাঁদের সম্মান জানাতে শিলিগুড়ি প্রশাসন,মোহনবাগান লেন,-এর ব্যবস্থা করবে এই আশাকরি।” এদিন শিলিগুড়ি মেরিনার্স অনাথ শিশুদের বস্ত্রদান করে। পাশাপাশি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোরো প্রশাসক রঞ্জন সরকার, মেরিনার্স সম্পাদক দেবব্রত দত্ত, প্রাক্তন টেবল টেনিস খেলোয়াড় শিশির গাঙ্গুলি সহ এক ঝাঁক মোহনবাগান জনতা।