ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৫ অগাস্ট : চলে গেলেন সাত ও আটের দশকের তারকা ফুটবলার চিন্ময় চ্যাটার্জি। আজ, রবিবার দুপুরে খড়দহের রহড়ার বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রাক্তন তারকা ফুটবলার চিন্ময় চ্যাটার্জির। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাংলার ফুটবল জগতে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। প্রাক্তন এই তারকা ফুটবলারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত শনিবার মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব কর্তারা ১৯৮১ এর লিগ জয়ী সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালের কলকাতা লিগ জয়ী সদস্য হিসেবে মহমেডানের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিন্ময়বাবু। সেটাই ছিল তাঁর শেষ কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়া। সোমবার কল্যাণীতেও ফুটবল টুর্নামেন্টে বিশেষ অতিথি হিসেবে যাওয়ার কথা ছিল।
চিন্ময় চ্যাটার্জির ময়দানে ফুটবল শুরু ৬০ এর দশকে। প্রথমে বাটা ক্লাব, পড়ে জর্জ টেলিগ্রাফে সই করেন। ১৯৭৪ সালে সাবির আলির নেতৃত্বে এক যুব টুর্নামেন্টে ইরানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই দলে নিজের সেরাটা তুলে ধরেছিলেন। রাইট ব্যাক চিন্ময় চ্যাটার্জির খেলা দেখে ১৯৭৫ সালে মোহনবাগান সই করায়। পরের বছর ১৯৭৬ সালে সই করেন ইস্টবেঙ্গলে। ১৯৮০ সালে সই করেন মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। পরের বছর ১৯৮১ সালে মহমেডানকে লিগ চ্যাম্পিয়ন করান। পরে অবশ্য ফের ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসেন।
১৯৭৮ সালে ব্যাঙ্কক এশিয়ান গেমসে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন চিন্ময়বাবু। চিন্ময়বাবু বহু ম্যাচ দুরন্ত খেলেছিলেন। যা ফুটবল রসিকদের এখনও চোখে লেগে আছে। ঠিক তেমনি তাঁর ‘কুখ্যাত’ ব্যাকপাস থেকে গোল হওয়াওর ঘটনাও আছে। যে কারণ তৎকালীন কোচ পিকে ব্যানার্জি বেশ কিছু ম্যাচ চিন্ময় চ্যাটার্জিকে জার্সি দেননি। কিন্তু পরে নিজের ভুল শুধরে নিজের দক্ষতায় ফিরে এসেছিলেন। তিনি প্রায় বলতেন, ইস্টবেঙ্গলে খেলেই তিনি ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। আর তার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল সুধীর কর্মকারের।
ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর ১৯৮৬ সালে ইস্টবেঙ্গলের সহকারি কোচ হিসেবেও তাঁকে ময়দানে দেখা গিয়েছে। ২০১৫ সালে রাজ্য সরকার তাঁকে “বাংলার গৌরব” সম্মান দেয়।