◆ডুরান্ডের ফাইনালে ওঠার পর ইস্টবেঙ্গলের কোচ ও ফুটবলারদের উল্লাস। মঙ্গলবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে◆
◆ইস্টবেঙ্গল – ২ (৫)
◆নর্থ ইস্ট – ২ (৪)
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : এভাবেও ফিরে আসা যায়। হ্যাঁ, দুই গোলে পিছিয়ে থাকার পর যখন হারটা সময়ের অপেক্ষা ছিল, ঠিক তখনই দু-দুটি গোল করে সমতায় ফিরে টাইব্রেকারে বাজিমাত করলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। মঙ্গলবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেমিফাইনালে নর্থ ইস্টকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ডুরান্ডের ফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই নর্থ ইস্ট দল ছিল সংঘবদ্ধ। ছোট ছোট পাস সঙ্গে গতিতে লাল-হলুদ শিবিরের ফুটবলিরদের টেক্কা দিয়েছিলেন নর্থ ইস্টের ফুটবলাররা। তুলনায় ইস্টবেঙ্গলের অজস্র মিস পাস, মাঝমাঠের দখল হারিয়ে ফেলা, বিপক্ষর বক্সের সামনে গিয়ে নিজেদের হারিয়ে ফেলা – এদিনে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল ছিল অতি সাদামাঠা। সেই সুযোগ নিয়েই ২২ মিনিটের মাথায় নর্থ ইস্টের গোল। বাঁ প্রান্তের বক্সের বাইরে থেকে বল ভাসিয়ে দেন ফাল্গুনী। সেই ভাসানো বল ধরে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডারকে ঘারের কাছে নিয়ে হেডে চমৎকার গোল করেন নর্থ ইস্টের জাবাকো।
৫৫ মিনিটে আবার গোল। টপ বক্সের অনেকটা পিছনে থেকে লম্বা শট নিয়েছিলেন ফাল্গুনী। লাল-হলুদ ডিফেন্স ভেদ করে ফাল্গুনীর শট চলে যায় গোলে। নর্থ ইস্ট এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।
০-২ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর অল আউটে চলে যায় ইস্টবেঙ্গল। আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে কোচ কুয়াদ্রাত নামান ক্লেটনকে। তিনি নামতে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। ৭৬ মিনিটে ক্লেইটনের ক্রশ থেকে নাওরেমের শট নর্থ ইস্টের ডিফেন্ডার দীনেশ সিংয়ের পায়ে লেগে গোল হয়ে যায়। ম্যাচের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় ৮ মিনিট। অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে নন্দকুমারের গোলে সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডুরান্ড কমিটির সিদ্ধান্ত হল যে, নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ড্র হলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট না খেলিয়ে সরাসরি টাইব্রেকারে ম্যাচের ফয়সলা হবে। এদিন ২-২ ম্যাচ শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জিতল ইস্টবেঙ্গল। হারের মুখ থেকে ফিরে একেবারে ফাইনালে পৌঁছে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। আগামী বৃহস্পতিবার অপর সেমিফাইনালে গোয়াকে হারাতে পারলে ৩ সেপ্টেম্বর ডুরান্ড ফাইনালে ফের মুখোমুখি হবে মোহনবাগান -ইস্টবেঙ্গল।