ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : জমজমাট কলকাতা ফুটবল লিগ।
বিদেশিহীন লিগ নিয়ে যারা সন্দিহান ছিলেন তারা মাঠে গেলে হতাশ হবেন না তা হলফ করেই বলা যায়। প্রতিটি ম্যাচেই একাধিক গোল হচ্ছে। স্বদেশীয়ানায় কলকাতা লিগ রঙিন। আর এমন বিদেশিহীন লিগে মাঠে ফুল ফোটাচ্ছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের অনূর্ধ্ব-২৩ এর ফুটবলাররা।
প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে জয়ের পরে, বুধবার বারাকপুরে দ্বিতীয় ম্যাচে মোহনবাগান ৫-১ গোলে জিতল। বাস্তব রায়ের প্রশিক্ষনাধীন মোহনবাগানের ছেলেদের পায়ে যেন পাসিং ফুটবলের জলছবি। মাঝমাঠ কি দুই প্রান্ত ধরে চারটি,পাঁচটি,ছয়টি পাস খেলতে খেলতে বিপক্ষের বক্সে আছড়ে পড়ছে। তবে গতির বিরুদ্ধে ম্যাচের চার মিনিটের মাথায় মানস সরকারে গোলে এগিয়ে গিয়েছিল টালিগঞ্জ অগ্রগামী। একদা ন্যাশনাল লিগ খেলা টালিগঞ্জ অতীতে বহুবার দুই প্রধানকে আটকে দেওয়ার নজির আছে। এদিন এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল তবে কি অতীতের সেই ফাইটার টালিগঞ্জের কামব্যাক হতে চলেছে? কিন্তু ছবিটা কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টে গেল। পাসিং ফুটবলের জোরে ধীরে ধীরে খেলার রাশ তুলে নেয় মোহনবাগান।
২৪ মিনিটে নাওরেম সিংয়ের দর্শনীয় গোলে সমতায় ফেরে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। চারজনকে কাটিয়ে নাওরেমের অসাধারণ গোল। তার পর থেকেই টালিগঞ্জ ম্যাচ থেকে ছিটকেই গেল। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বাকি সময় মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় ফুল ফোটালো। ৪৭ মিনিটে নাওরেমের সেন্টার থেকে হামতের গোল। পাঁচ মিনিট পরে সুহেল ভাটের গোল।
নজর কাড়লেন মোহনবাগানের হামতে। দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নিলেন হামতে। জেজেকে আদর্শ করে ফুটবলার হয়ে ওঠা হামতে হ্যাটট্রিকটি তাঁর পরিবারকেই উৎসর্গ করলেন।
এদিন প্রিমিয়ার ডিভিশনে অপর তিনটি ম্যাচ ছিল। তিনটি ম্যাচই ড্র হয়েছে। পিয়ারলেস ও কালিঘাট মিলন সংঘ (১-১), ডালহৌসি ও সাদার্ন সমিতি (১-১) এবং ডায়মন্ডহারবার এফসি – আর্মি রেড (১-১) ম্যাচ শেষ হয়েছে।