◆সন্দীপ দে◆
আইএফএ-এর সব কিছুই যেন বদলে যাচ্ছে। ভাল কি মন্দ সেই সব তো পরে মূল্যায়ন হবে। সময় সে কথা বলবে। তবে এবার বদলে গেল ১২৮ বছরের আইএফএ-ফুটবল দলের জার্সির রং। আগে ছিল হলুদ ও মেরুন। এখন সেটা বদলে হয়ে গেল নীল-সাদা। অতীতে এই হলুদ-মেরুন রংয়ের জার্সি গায়ে বাংলা ৩২ বার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রানার্স হয়েছে ১৩ বার। ৮০ বছরের সন্তোষ ট্রফির ইতিহাসে যা রেকর্ড করে বসে আছে বাংলা। সেই বাংলা দলের জার্সির রংটাই বদলে ফেললেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জি।
স্পননসর বা ইনভেস্টরদের দাবি মেনে মোহনবাগান,ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব কর্তারা নিজেদের জার্সির ডিজাইন বদল করলেও নিজস্ব রং কখনই পরিবর্তন করেননি। তিন প্রধান তিন ধরনের জার্সি করেছে কিন্তু প্রত্যেকটাতেই কোথাও না কোথাও নিজেদের নিজস্ব রং রেখেছে। ওটাই এক পরিচিতি।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এখনও পযর্ন্ত বিসিসিআই ৩৬ বার ভারতীয় দলের জার্সি পরিবর্তন করেছে। ‘সাহারা’, স্টার,ওপপো”, ‘বাইজু’-র মতো যখন যে স্পনসর আসুক না কেন বিসিসিআই কখনই বেসিক রংটা পরিবর্তন করেনি। ডিজাইন বদলেছে,বেসিক রং নীলকে কখনও হাল্কা,কখনও গাঢ় রেখেছে। আইএফএ কিন্তু বেসিক রংটাকেই তুলে দিয়েছে।
‘খেলা হবে’ -এর এক অনুষ্ঠানে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বাংলার নতুন রংয়ের জার্সি তুলে দিয়েছিলেন আইএফএ সচিব। কি এমন হল বাংলা ফুটবল দলের জার্সি পরিবর্তন করতে হল? নীল-সাদা রংয়ের জার্সি করার চিন্তাভাবনা কার? আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জি ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে জানালেন,”এটা আমরা আইএফএ অফিস বেয়ারার্সরা বসে ঠিক করেছি। আমাদের আগের যে জার্সির রং ছিল তার থেকে একটু মর্ডান লুক আনতে চেয়েছি। একটু প্রাণবন্ত। তাই নীল-সাদা। আপাতত আমরা দুটি জার্সি সেট তৈরি করেছি। একটায় সাদা রং বেশি। অপরটিতে নীল বেশি।”
আরও তো অনেক রং ছিল, কিন্তু তৃণমূল সরকারের নীল-সাদা রংটা বাছলেন। নবান্ন বা ক্রীড়া দফতর থেকে আপনাদের কোনও পরামর্শ এসেছিল? প্রশ্নের উত্তরে জয়দীপ মুখার্জি বলেন,”না,না। কেউ কোনও পরামর্শ দেয়নি। আমরাই এই রং দুটি বেছে নিয়েছি।”