◆SNU -এর কর্ণধার ও আচার্য্য সত্যম রায় চৌধুরী ◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : আইএফএতে খুশির খবর। বাংলার ফুটবলে ভাল খবর। হ্যাঁ, আইএফএতে আবার ফিরে এল স্পনসর SNU(সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি)। আজ,শনিবার আইএফএকে মেল করে SNU-এর পক্ষ থেকে মেল করে জানিয়ে দিয়েছে বাংলার ফুটবলের সঙ্গে তারা আইএফএ-এর সঙ্গে এক যোগে কাজ করবে। অর্থাৎ স্পনসর হিসেবে SNU থেকে গেল। স্বাভাবিক কারণেই আইএফএতে খুশির হাওয়া। জাতীয় গেমসে বাংলার সোনা জয়ের পর SNU -কে ফিরে পাওয়াটা আইএফএ-পক্ষ্যে ইতিবাচক দিক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর মধ্য কলকাতার এক পাঁচ তারা হোটেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে আইএফএ-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাাঁধার ঘোষণা করেছিলেন SNU -এর কর্ণধার ও আচার্য সত্যম রায় চৌধুরী ও আইএফএ কর্তারা। কিন্তু সাত দিনের মধ্যে (২৮ সেপ্টেম্বর ) SNU হঠাৎ আইএফএকে জানায় তারা এই মুহূর্তে আইএফএ-এর সঙ্গে থাকতে পারছে না। সেই নিয়ে তুমুল বিতর্কও হয়। অভিযোগ ওঠে,কেউ কেউ SUN কে চিঠি দিয়ে নাকি আইএফএকে স্পনসর না করার জন্য প্রভাবিত করে মেল করেছিল।
আইএফএ-এর এই বিরক্তিকর পরিবেশ বুঝে SNU আর এই থাকতে চায়নি। কারণ তারা চেয়েছিল বাংলার ফুটবলের স্বার্থে আইএফএ-এর সঙ্গে এক যোগে কাজ করবে। কিন্তু SNU কোনও তিক্ত সমস্যার মধ্যে কাজ করতে চায়নি বলেই সাত দিনেই চলে জেতে চেয়ে আইএফএকে মেল করেছিল।
এই ঘটনার পর ২৯ সেপ্টেম্বর আইএফএ-এর গভর্নিং বডির বৈঠকের শেষে চেয়ারম্যান সুব্রত দত্তকে স্পনসর SNU সম্পর্কে প্রশ্ন করলে (তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অজিত ব্যানার্জিকে দেখিয়ে) তিনি বলেন,”এই ব্যাপারে যা বলার সভাপতি অজিত ব্যানার্জি বলবেন। সেই মুহূর্তে ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে অজিতবাবু বলেছিলেন,”আমরা সত্যমবাবুর সঙ্গে কথা বলব। নিশ্চয় সমস্যা মিটে যাবে।” সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন আগে SNU কর্ণধার সত্যম রায় চৌধুরীর সঙ্গে আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি আলোচনায় বসেছিলেন। তবে আজ,শনিবার স্পনসর হিসেবে থাকার সম্মতি দিয়ে মেল করে আইএফএকে নিশ্চিত করেছে SNU কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সত্যমবাবু বরাবরই ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। বাংলার ফুটবলের উন্নয়নে নিজেদের সংস্থাকে আইএফএ-এর সঙ্গে জড়িয়ে রাখতে চান স্বতঃস্ফূর্তভাবে। তিনিই প্রথম বাংলায় স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি তৈরি করছেন। এমন এক ক্রীড়াপ্রেমী ও উদ্যোগী বাঙালিকে আইএফএ-এর পেট্রন হওয়ার জন্য প্রস্তাব রেখেছিলেন আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। সেই প্রস্তাব ২৯ সেপ্টেম্বর গভর্নিং বডির সভায় তা পাশও হয়ে গিয়েছে।