◆ইংল্যান্ড – ৩ (হেন্ডারসন, হ্যারি কেন, সাকা)
◆সেনেগাল – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিববেদন : চার বছর আগে ভরতে খেলে গিয়েছিলেন সাকা ও ফোডেন। অনূর্দ্ধ-১৭ বিশ্বকাপে। ক্রিকেট বা ফুটবল জাতীয় দলে ইংল্যান্ড সব সময় তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। ভারতে খেলতে আসা ইংল্যান্ডের সেই অনূর্দ্ধ-১৭ দলের সাকা-ফোডেন কাতার বিশ্বকাপে তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পথে।
এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগের দ্বিতীয় ম্যাচ ছাড়া বাকি সব ম্যাচে অভিজ্ঞ হ্যারি কেনের সঙ্গে ফোডেন ও সাকাকে রেখে ফরোয়ার্ড লাইন সাজিয়েছেন ইংল্যান্ড কোচ। মাঝমাঠেও তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়েছেন কোচ। ফলে ৯০ মিনিট একই গতি রেখে বিপক্ষের বক্সে আক্রমণর ঝড় তুলেছেন সাকা-ফোডেনরা।
এদিন প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সেনেগালের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেই দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। সেনেগালকে হারাল ৩-০ গোলে। গোলদাতা হেন্ডারসন, হ্যারিে কেন এবং সাকা।
ম্যাচের শুরুতে ইংল্যান্ডের অপেক্ষাকৃত দুর্বল রক্ষণের উপর ঘন ঘন সেনেগালের আক্রমণ দেখে একটা সময় মনে হচ্ছিল সেনেগাল অঘটন ঘটানোর অপেক্ষায় আছে। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে নিজেদের আক্রমণ ধরে রাখতে পারেননি সেনেগালের ফুটবলাররা। ৩৮ মিনিটের মাথায় হেন্ডারসন গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন। গোল হজম করতেই ইংল্যান্ড আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ঠিক ততটাই রক্ষনাত্মক হয়ে ওঠে সেনেগাল। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে দুরন্ত গোল করেন হ্যারিকেন। ম্যাচ তখনই শেষ হয়ে যায়। না, আর ঘুরে দাঁড়িতে পারেনি সেনেগাল। ৫৭ মিনিটে বুদ্ধিদীপ্ত গোল করেন ভবিষ্যতেয তারকা সাকা। পরবর্তীকালে বড় দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সেনেগাল। বিদায় নিতে হল এবারের বিশ্বকাপ থেকে।