ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : সৃঞ্জয় দত্ত। এই মুহূর্তে অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পড়ছে। শ্রীরামপুরের ১৮ বছরের সৃঞ্জয় চমকে দিয়েছেন বাংলার ক্রীড়ামহলকে। এত কম বয়সে সিনিয়র শুটিং বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছেন। বাংলার আর এক সিনিয়র শুটার কুহেলি গাঙ্গুলি বলছিলেন,” সিনিয়র শুটিং বিশ্বকাপে এত কম বয়সে বাংলা থেকে পুরুষ বিভাগে আগে কোনও শুটার সুযোগ পায়নি। সৃঞ্জয়ই প্রথম।”
সৃঞ্জয়ের এমন চমৎকার সাফল্যর জন্য তাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য সোমবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে ব্যক্তিগত ভাবে সংবর্ধনা দিলেন অলিম্পিয়ান শুটার জয়দীপ কর্মকার। অনুষ্ঠানে কুহেলী,জয়দীপ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্নুকার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সৌরভ কোঠারি ও প্রাক্তন ক্রিকেটার সম্বরণ ব্যানার্জি।
জয়দীপ কর্মকার বলেন,” এই সৃঞ্জয় শুটিং খেলায় এসেছে মাত্র চার বছর হল। এই চার বছরে সিনিয়র বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়াটা সহজ নয়। সৃঞ্জয়কে তৈরি করেছেন তার বাবা শঙ্কর দত্ত। শঙ্করবাবু কোনও দিন শুটার ছিলেন না। কিন্তু প্যাশন থেকে সৃঞ্জয়কে তৈরি করেছেন। এমনকি বাড়িতে রেঞ্জও তৈরি করেছেন। এটা ভাবা যায় না। সৃঞ্জয়ের এটা সবে শুরু মাত্র। ওকে আরও অনেক পথ যেতে হবে। আমি আশা করব,২০২৪ অলিম্পিকেও সৃঞ্জয় সুযোগ পাবে।”
সৃঞ্জয় বলেন,”আজ আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সবাইকেই ধন্যবাদ জানাই। আজ আমি যতটুকু শিখেছি সব আমার বাবার জন্য। বাবাই হলেন আমার পার্সোনাল কোচ। আমার লক্ষ্য ভাল পারফরম্যান্স করা। তার জন্য অনুশীলন করে যেতে চাই। বিশ্বকাপে ভাল কিছু করতে চাই। পাশাপাশি ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকও আমার লক্ষ্য।”
সৃঞ্জয়ের বাবা পেশায় পেইনটার ছিলেন। পরে ওয়েবসাইট ডেভেলপার। মা স্কুল শিক্ষিকা। ২০১৭ সালে শুটিংয়ে এসেছে। এই চার বছরে ন্যাশনাল করে ইতিমধ্যে দুটি রুপো ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন। এই চার বছরে আসন্ন কায়রো বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়াটাই সেরা। অভিনব বিন্দ্রা ১০ মিটার এয়ার রাইফেল শুটিংয়ে অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন। মিশরের কায়রো সিনিয়র বিশ্বকাপে সেই ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টেই নামবেন সৃঞ্জয়। তাঁর বাবা শঙ্কর দত্ত বলেন,”যতটা সম্ভব ছেলেকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এখনও অনেক দুর ওকে যেতে হবে।”
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যাবেন সৃঞ্জয়। দিল্লিতে ভারতীয় শিবির শুরু ৯ ফেব্রুয়ারি। কায়রোত বিশ্বকাপ শুরু হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি।