বাংলা -১ (দিলীপ ওরাঁও)
সিকিম – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,২৫ নভেম্বর : কল্যাণী টু কেরল। বাংলার গন্তব্যস্থল। কেরল পৌঁছনোর জন্য প্রচন্ড চাপে ছিলেন কোচ,ফুটবলার থেকে আইএফএ কর্তারা। বাংলা দলকে সমর্থন করতে কল্যাণী পৌঁছে গিয়েছিলেন আইএফএ-র চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। ম্যাচের অনেক আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সচিব জয়দীপ মুখার্জি সহ সকল অফিস বেয়ারার্স। অনেক চাপ,আশঙ্কা কাটিয়ে অবশেষে এবারের সন্তুোষ ট্রফির মূলপর্বে পৌঁছে গেল বাংলা। বৃহস্পতিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে সিকিমকে ১-০ গোলে হারিয়ে আপাতত স্বস্তির নিশ্বাস বাংলা শিবিরে।
পর পর দুই ম্যাচে গোল নষ্টের প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন বাংলার স্ট্রাইকাররা। সন্তোষের মূল পর্বে পৌছতে গেলে এদিন সিকিমকে হারাতেই হত। এমন চাপ নিয়ে মাঠে নেমে ছিলেন বাংলার ফুটবলাররা। ছত্তিশগড়ের থেকেও দুর্বল দল এই সিকিম। সেই দলকে হারাতে বাংলার নাভিশ্বাস উঠে এল। এবারের কলকাতা লিগের সেরা আবিস্কার স্ট্রাইকার সুব্রত মূর্মূ। ছত্তিশগড়ের ম্যাচের মতোই এদিনও পাঁচ-পাঁচটা গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন সুব্রত। দারুন ভাবে বিপক্ষের বক্সে ঢুকছেন বটে কিন্তু গোলটা করতে পারছেন না সুব্রত।
প্রথমার্ধের ১০ মিনিট, দ্বিতীয়ার্ধের ২৬, ৩৫,৪২ এবং ৪৩ মিনিটে দিনের সহজ পাঁচটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন সুব্রত। একজন স্ট্রাইকারের কাছে গোলটাই চায় কোচ থেকে কর্তা, সমর্থকরা। সেই গোল করতে ব্যর্থ তিনি।
শুধু সুব্রত একা নয়, ম্যাচের ১৭ মিনিটে পেনাল্টি নষ্ট করলেন মহিতোষ রায়। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করে বাংলাকে এগিয়ে দেন দিলীপ ওরাাঁও। তবে প্রথমার্ধে বল মাটিতে রেখে একাধিক পাস খেলে বিপক্ষের বক্সে উঠে গিয়েছেন বাসুদেব,ফারদিন,দিলীপ,মহিতোষরা। সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে বাসুদেব মান্ডি,ফারদিন আলি মোল্লা। অনেকটা জায়গা নিয়ে বাংলাকে টেনে তুলে নিয়ে গেলেন। তবে গোল সংখ্যা বাড়েনি। শেষ মুহূর্তে সিকিম একমাত্র গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে বাংলার কপালে কি ছিল বলা শক্ত।
ম্যাচের শেষে বাংলা দলের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন,”আমাদের টিম ভালই খেলেছে। দুটি ম্যাচে প্রায় দশটা গোলের সুযোগ নষ্ট হয়েছে। আজ আমাদের কম করে পাঁচ গোলে জেতার কথা। আশা করছি পরের রাউন্ডে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবে ফুটবলাররা।”