◆সাদার্ন-ডায়মন্ডহারবার ম্যাচের একটি মুহুর্ত। রবিবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : প্রথমার্ধে খুঁজেই পাওয়া গেল না কিবু ভিকুনার ডায়মন্ডহারবার এফসিকে। ম্যাচের প্রথমার্ধে সাদার্ন সমিতির ফুটবলাররা যদি তিন কাঠির ভিতরে বল গুলি রাখতে পারতেন তাহলে কম করে তিন গোলে এগিয়ে থাকতে পারত। শুধু তাই নয় একটা পেনাল্টিও পেতে পারত রঞ্জন ভট্টাচার্যের সাদার্ন। রেফারি সুরজিৎ দাস পেনাল্টি দেননি। ফুটবল ম্যাচে গোলটাই শেষ কথা। ম্যাচের শেষে দুরন্ত লড়াই, গোল নষ্ট বা পেনাল্টি না পাওয়া – এই সব স্কোরকার্ডে লেখা থাকবে না। যেটা লেখা থাকবে সেটা হল ডায়মন্ডহারবার – ২ সাদার্ন সমিতি – ০, এদিনের ম্যাচের এটাই ফলাফল। সাদার্ন যা কাজে লাগাতে পারেনি সেটাই কাজে লাগিয়ে জয় দিয়ে লিগ অভিযান শুরু করল ডায়মন্ডহারবার এফসি।
প্রথমার্ধের চার মিনিট পর থেকেই মাঝমাঠের দখল নিয়ে ফেলেছিল সাদার্ন সমিতি। সঙ্গে দুটি প্রান্ত ধরে চমৎকার ভাবে ডায়মন্ডহারবারের বক্সে আছড়ে পড়ছিল রঞ্জনের ছেলেদের আক্রমণ। ছোট ছোট পাস খেলে আক্রমণের ঝাঁঝটাও বাড়িয়ে ফেলেছিল। সাদার্নের ঘন ঘন আক্রমণ সামলাতে তখন ডায়মন্ডের ডিফেন্স লাইন যেন কাঁপছে। একটা সময় ১৫ মিনিটে চার চারটি গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ। এত গোল নষ্ট করার পর আর যাইহোক ম্যাচ জেতা যায় না।
সাদার্ন সমিতির ৪১ মিনিটের দুরন্ত লড়াই হারিয়ে গেল দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধের খেলার সেই ঝাঁঝটাই ফেরাতে পারল না। বরং দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে ডায়মন্ডহারবার। ৬৪ মিনিটে সুপ্রতিপ বাড়ুই গোল করে ডায়মন্ডকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন। ৬৮ মিনিটে পরিবর্তিত ফুটবলার সুপ্রিয় পন্ডিত গোল করার সঙ্গে তখনই জয় নিশ্চিত করে ফেলেন।
এদিন প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধন ম্যাচ ঘিরে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল আইএফএ। রাজ্য ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার সকল কর্তারা হাজির থেকে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান শেষ করেন। বৃষ্টির জন্য অনুষ্ঠান একটু দেরিতে শুরু হয়। প্রথমে কুকরি শিল্পকলার প্রদর্শন, তারপরে পুলিশের ব্যান্ডের কুচকাওয়াজ, বাংলা সংস্কৃতির লোকনৃত্য এবং সব শেষে চমৎকার লেজার শো। সব মিলিয়ে জমকালো অনুষ্ঠান। এদিন ম্যাচের ম্যাচ কমিশনার ছিলেন বাংলার একমাত্র মহিলা ম্যাচ কমিশনার সুদেষ্ণা মুখার্জি। এদিন ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার অমিত ভদ্র, ‘অর্জুন’ শান্তি মল্লিক ও প্রশান্ত চক্রবর্তী।