সভায় পদত‍্যাগ পত্র প্রত‍্যাহার, জয়দীপের প্রত‍্যাশিত প্রত‍্যাবর্তন

0

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৯ এপ্রিল: আইএফএ সচিব পদে জয়দীপের ফেরার পথ খোলার বিষয় নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চেষ্টা চলছিল। সূত্রের খবর, এই জট কাটানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা আছে ময়দানের এক প্রভাবশালী কর্তার। সেই কর্তাই প্রেসিডেন্ট অজিত ব‍্যানার্জিকে নাকি বোঝান। আসলে জয়দীপ মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে যে ভাবে আইএফএ সভাপতিকে খলনায়ক বানিয়ে পদত‍্যাগ করেছিলেন তাতে ভীষনই অপমানিত হয়েছিলেন অজিত ব‍্যানার্জি। সেই অপমানের কথা মনে রেখে এতদিন জয়দীপকে ফিরে আসার জন‍্য অনুরোধ করতে চাননি। কিন্তু ময়দানের সেই কর্তা এবং চেয়ারম‍্যানের মধ‍্যস্থতায় বরফ গলে। সব অভিমান ভুলে ফুটবলের স্বার্থে, আইএফএ-র স্বার্থে ফের এক সঙ্গে এগিয়ে চলার পথে সামিল হন অজিতবাবু। আসলে এসবই হল ময়দানি অঙ্ক।

আইএফএ-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, জয়দীপকে যদি ঘটে যাওয়া ঘটনার জন‍্য প্রকাশ‍্যে দূ:খ‍‍ প্রকাশ করতে হত অথবা আগে থেকে পদত‍্যাগ পত্র প্রত‍্যাহার করতে হত, তাহলে আইএফএ অফিসের স্টাফ, বিভিন্ন ক্লাব কর্তাদের কাছে ছোট হয়ে যেতেন। কাজ করতে সমস‍্যা হত। সেই কারণে নাকি জয়দীপও আগে থেকে পদত‍্যাগ পত্র প্রত‍্যাহার করতে চাননি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ৬ দিন আগে দুই কর্তা মুস্কিল আসান করেন। চেয়ারম‍্যান ও সভাপতি গভর্নিং বডির সদস‍্যদের প্রত‍্যাহার করার জন‍্য চিঠিও নাকি দিতে বলেন। অবশেষে আজ, সোমবার সরকারি ভাবে সব সমস‍্যার সমাধান। গভর্নিং বডির সভায় দাবি ওঠে জয়দীপ পদত‍্যাগ পত্র প্রত‍্যাহার করুন। সেই ‘অনুরোধ’ -এ আইএফএ-র সচিব জয়দীপ মুখার্জি পদত‍্যাগ পত্র প্রত‍্যাহার করেন জয়দীপ।

এদিন গভর্নিং বডির সভার শেষে চেয়ারম‍্যান অজিত ব‍্যানার্জি বলেন, “সচিব পদ থেকে পদত‍্যাগ করেছিলেন জয়দীপ। আমরা মনে করি জয়দীপেরই সচিব পদে থাকা উচিত। আমরা ওকে উইড্রো করতে বলি। সমস‍্যার সমাধান হয়ে গেল।” কিন্তু এত ছোটই ঘটনা যদি হবে, তাহলে এতদিন ধরে বিষয়টা ঝুলে রইল কেন? কেন এত বিতর্কর সৃষ্টি হল? এই প্রশ্নের উত্তরে অজিতবাবু বলেন,”কেন দেরি হল সেটা বলতে পারব না।”

অজিতবাবু মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর আইএফএ চেয়ারম‍্যান সুব্রত দত্ত বলেন,” বাংলার ফুটবলের অগ্রগতির জন‍্য জয়দীপকেই এখন দরকার। ও ব‍্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত‍্যাগ করেছিল। পরে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেই ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে।” কিন্তু পদত‍্যাগ করার সময় জয়দীপ তো সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না বলেই পদত‍্যাগ করলেন? উত্তরে সুব্রতবাবু বলেন, “কি বিবৃতি দিয়েছে জানি না। তবে যে পদত‍্যাগ পত্র জমা দিয়েছিল সেখানে কিন্তু ব‍্যক্তিগত কারণই জয়দীপ উল্লেখ করেছিল। আমরা জয়দীপের চিঠির বয়ানকেই মান‍্যতা দিয়েছি।” সুব্রতবাবু আরও জানান, জয়দীপের মতোই তিন সহ সভাপতিকেও পদত‍্যাগ পত্র প্রত‍্যাহার করার জন‍্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিন অফিস বেয়ারার্স ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ২২ জনের গভর্নিং বডির সদস‍্য। অন‍্যদিকে, আইএফএ-র ভিতরের খবর কি করে বাইরে বেড়িয়ে যাচ্ছে তাই নিয়েও এদিন গভর্নিং বডির সভায় আলোচনা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here