ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : যা হওয়ার তাই হল। আইএফএ-এর স্পেশাল অ্যানুয়াল মিটিংয়ে কি হতে পারে তা আগাম তুলে ধরেছিল ‘ইনসাইড স্পোর্টস’। শুক্রবার সুবর্ণ বনিক সমাজ হলে আইএফএ-এর এই বিশেষ মিটিং শেষ হতে সময় লাগল মাত্র ৭ মিনিট। ৫৮ পাতার নতুন নিয়ম বিধি সদস্যদের অনেক দিন আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কি কি পুরনো নিয়ম থাকছে বা নতুন নিয়ম কি হতে যাচ্ছে তার সবটাই ওই ৫৮ পাতার নিয়ম বিধিতেই উল্লেখ ছিল।
এদিন স্পেশাল জেনারেল মিটিং পরিচালনা করেন আইএফএ-এর চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। গত কয়েক মাস আগে স্পেশাল এজিএমেই নতুন নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। নিয়ম মেনে সেই মিটিং সম্পন্ন না হওয়ায় ফের এদিন স্পেশাল এজিএম ডাকতে হয়। সুব্রতবাবু মিটিংয়ে বলেন,আগের এজিএমে যা বিষয় বস্তু ছিল সেগুলিই এবারের আলোচ্য বিষয়। ক্লাবগুলির বার্ষিক ফি বৃদ্ধি থেকে বয়স ভিত্তিক লিগ, তিন প্রধান ক্লাবের পদাধিকারীদের আইএফএতে কোনও পদ না দেওয়া – এমন সব নতুন নিয়ম পাশ হয়ে গেল। এটা পাশ হতে সময় লাগল ৪ মিনিট।
সব শেষে জয়দীপ মুখার্জিকে ফেরানোর ফেরানোর “দাবি” করলেন দুই সদস্য। ১০০ জনের বেশি সদস্য এদিনের এই বৈঠকে এসেছিলেন। তার মধ্যে দুই সদস্য আইএফএ সচিব জয়দীপকে চেয়ে সভায় প্রস্তাব ছুঁড়ে দিলেন। ঠিক তখনই সভার অধিকাংশ সদস্য জয়দীপকে থেকে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হলেন। সবই ‘পাশ পাশ আর পাশ। আর একটা ছোট্ট নিয়ম আছে। পরের গর্ভনিং মিটিংয়ে জয়দীপকে “ফিরিয়ে” নেওয়ার ব্যাপারে সরকারি ভাবে শিলমোহর দেওয়া হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।
এদিনের মিটি গরহাজির ছিলেন আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দোপ্যাধ্যায়। মিটিংয়ে দেখা যায়নি মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের কোনও প্রতিনিধিকেও। তবে শেষ মুহূর্তে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের প্রতিনিধি এসেছিলেন। এদিকে, এদিন মিটিং শুরু হলে ডায়াসে দেখা যায় তিন সহ সচিবকে (যদিও এদের সময় সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে)। কিন্তু আর এক সহসচিব স্বপন দত্ত ডায়াসে ওঠেননি। নিজের ক্লাবের কাগজ জমা দিয়ে সভা শুরুর আগেই হল ছেড়ে বেড়িয়ে যান স্বপন দত্ত।