বাংলা – ২ ( মহিতোষ রায়/ফারদিন আলি মোল্লা)
ছত্তিশগড় – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,কল্যাণী,২১ নভেম্বর : একাধিক গোল নষ্ট। তবুও গোল নষ্টের মাঝেও জয় দিয়ে সন্তোষ ট্রফি অভিযান শুরু করল বাংলা। এদিন,কল্যাণী স্টেডিয়ামে ছত্তিশগড়ের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে বাংলা চার থেকে পাঁচ গোলে জিততে পারত,সেখানে জিতল ২-০ গোলে। গোলদাতা মহিতোষ রায় ও ফারদিন আলি মোল্লা।
টুর্নামেন্টের প্রথম জয় পাওয়াটা দলের মনোবল অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু এদিনের ম্যাচে বাংলা জিতলেও মূলপর্বে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যর উপর একটা চাপ থেকেই গেল। আসলে দুর্বল ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে গোলের সংখ্যা বাড়িয়ে রাখতে পারলে সিকিম ম্যাচে অনেকটাই চাপ মুক্ত হয়ে খেলতে পারতেন বাংলার ফুটবলাররা। ২৩ নভেম্বর সিকিম যদি বেশি গোলে ছত্তিশগড়কে হারায়,আর ২৫ নভেম্বর বাংলা-সিকিম ম্যাচ ড্র হয়ে যায় তাহলে এবারের সন্তোষ ট্রফি থেকে বিদায় নিতে হবে বাংলাকে।

এই অঙ্ক মাথায় থাকায় ম্যাচের শেষে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জি। ম্যাচের শেষে মাঠের ফেন্সিং ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মুখে কোনও কথা নেই। এই প্রতিবেদক সচিবের কাছে পৌঁছতেই জয়দীপ বলে উঠলেন,”গোল সংখ্যা বেশি থাকলে ভাল হত। এত গোল নষ্ট হল। চাপ তো একটা থেকেই গেল।আশা করছি সিকিমকে হারিয়েই মূলপর্বে যাব।”
শুধু জয়দীপ মুখার্জি নয়, মাঠে প্রায় আড়াই হাজার দর্শকদেরও আফসোস। এবারেরে কলকাতা লিগে নজর কাড়া স্ট্রাইকার সুব্রত মূর্মু একাই তিনটি সহজ গোল নষ্ট করলেন। বাংলার এই উদীয়মান স্ট্রাইকার প্রথম গোলের সুযোগ নষ্ট করার পর থেকে আরও যেন স্নায়ুর চাপে পড়ে গেলেন।

সব কোচের নিজস্ব রণকৌশল থাকে। বাংলা কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যেরও আছে। কিন্তু তাঁর টিমের ছেলেরা খুব বেশি বল আকাশে তুলে ফুটবল খেললেন। প্রথমার্ধে তবু কিছুটা মাটিতে বল রেখে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে বল আকাশে।
এবারের কলকাতা লিগে বাংলার এই ফুটবলাররাই খুব ভাল ফুটবল খেলেছিলেন। লিগের সেই ঝলক বাংলার হয়ে খেলতে দেখা গেল না। বাংলা জিতল ঠিকই, কিন্তু যে প্রত্যাশা ছিল সেই প্রত্যাশা পূরণ হল না। বড় ব্যবধানে জিততে ব্যর্থ হল। প্রায় একমাস ধরে আবাশিক শিবির করে ফুটবলারদের এক সঙ্গে অনুশীলন করিয়েছেন কোচ রঞ্জন। আশা করা যায় ভুল শুধরে সিকিম ম্যাচে অন্য বাংলাকে দেখা যাবে।

আকাশে বল রেখে কেন এত খেলতে হল? প্রশ্নের উত্তরে বাংলা কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,”বেশি গোলের ব্যবধানে জিততে হবে,এটা ফুটবলারদের মাথায় ছিল। গোল নষ্ট হচ্ছে, চাপ তৈরি হয়েছিল মনে হয়। আমরা ৫/৬ গোলে জিততে পারতাম। হল না। তবে আমাদের দল সিকিমকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। আশা করছি সিকিমকে হারিয়েই মূল পর্বে পৌঁছবো।”