◆ ম্যাচের শেষে বাংলার তিন গোলদাতা তোতন দাস,সুরজিৎ হাঁসদা ও রবি হাঁসদা। শনিবার কোলাপুর ছত্রপতি শাহু স্টেডিয়ামে ◆
◆বাংলা – ৩ ( তোতন দাস, সুরজিৎ হাঁসদা,রবি হাঁসদা)
◆হরিয়ানা – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,৭ ডিসেম্বর : জয় দিয়ে এবারের সন্তোষ ট্রফি অভিযান শুরু করল বাংলা। আজ, মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের ছত্রপতি শাহু স্টেডিয়ামে হরিয়ানাকে ৩-০ গোলে হারাল বাংলা। গোল করেছেন তোতন দাস, সুরজিৎ হাঁসদা ও রবি হাঁসদা। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয় পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের ছেলেরা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলা ম্যাচের আধিপত্য নিয়েই খেলা শুরু করে। ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় তোতন দাস গোল করে বাংলাকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন। প্রথম গোল হওয়ার ২১ মিনিটে বাংলার হয়ে গোল করেন সুরজিৎ হাঁসদা (২-০)। গোটা ম্যাচেই বাংলা দাপটের সঙ্গে খেলে। ৯০ মিনিট বল পজিশন বাংলার বেশিই ছিল। তবুও হরিয়ানা কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়ে গোলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হয়। প্রথমার্ধের শেষ দিকে হরিয়ানার এক ফুটবলারের একটি চমৎকার শট সেভ করেন বাংলার আকাশ মুখার্জি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে,৫৩ মিনিটের মাথায় ম্যাচের শেষ গোলটি (৩-০) করেন রবি হাঁসদা।
তবে প্রথম ম্যাচ জিতলেও মাঠ নিয়ে বাংলাকে চিন্তায় রেখেছে। এই কোলাপুরে ছত্রপতি শাহু স্টেডিয়ামে প্রত্যেকদিন তিনটি করে ম্যাচ হবে। অনুশীলন করার জন্য এই স্টেডিয়ামের মাঠ বাংলা সহ কোনও দলই পাবে না। সংগঠকরা বাইরের যে মাঠে অনুশীলনের ব্যবস্থা করছে তা খুবই খারাপ। শক্ত মাটি। চোট পাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। তার উপর একদিন অন্তর একদিন ম্যাচ খেলতে হবে। ফুটবলাররা বিশ্রামও পাবে না।
বাংলা কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য সব কিছু মেনে নিয়েই গোটা দলকে আগলে রেখেছেন। ফুটবলারদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য সতর্ক বাংলা দলের ম্যানেজার অমিতাভ বিশ্বাসও। কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য ধাপে ধাপে এগোতে চায়ছেন। অর্থাৎ ম্যাচ বাই ম্যাচ নিয়েই ভাবতে চান। ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে যাওয়াটাই তাঁর লক্ষ্য। বাংলার পরবর্তী ম্যাচ আগামী সোমবার। প্রতিপক্ষ দমন ও দিউ।