◆জয়ের পর বাংলা দল◆
◆বাংলাঃ ৫ (রবি হাঁসদা-২,নরহরি-২,তোতন দাস-১)
◆মধ্যপ্রদেশ – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন, ১১ ডিসেম্বর : এবারের সন্তোষ ট্রফিতে এখনও পযর্ন্ত দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলা ফুটবল দল। পরপর তিন ম্যাচে জিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল বাংলা। হরিয়ানা (৩-০), দমন ও দিউ (৫-০)কে হারানোর পর বুধবার মধ্যপ্রদেশকেও ৫ – ০ গোলে হারাল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের বাংলা দল। তিন ম্যাচে ১৩ গোল করে বাংলা চতুর্থ গ্রুপে খুব ভাল জায়গায় আছে।
পাঁচ গোলের জয়ের পিছনে রবি হাঁসদা ও নরহরি শ্রেষ্ঠার উল্লেখযোগ্য অবদান আছে। আগের ম্যাচের মতোই মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধেও জোড়া গোল করলেন রবি এবং অধিনায়ক নরহরি। একটি গোল করেছেন প্রথম ম্যাচে গোল পাওয়া তোতন দাস। তিন ম্যাচে রবির গোল সংখ্যা হল ৫ এবং নরহরি সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৪টি গোল করলেন।
এদিন মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের ছত্রপতি শাহু স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল বাংলা। জয় ছাড়া কিছুই ভাবছেন না বাংলার ফুটবলাররা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে গোল করে বাংলাকে এগিয়ে দেন রবি হাঁসদা। পরে ২৪ ও ৪৫ মিনিটে দুটি গোল করেন বাংলার অধিনায়ক নরহরি শ্রেষ্ঠা। ৫৩ মিনিটে গোল করেন তোতন দাস। আর ৬২ মিনিটে ফের গোল করেন রবি। যদিও ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছেন রবি। ম্যাচের সেরা হয়েছেন অধিনায়ক নরহরি শ্রেষ্ঠা।
পরপর তিন ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি ১৩ টি গোল করলেও বাংলা সতর্ক। এখনও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। ১৩ জানুয়ারি ছত্তিশগড় ও ১৫ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাকে খেলতে হবে। মূল পর্বে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাকি দুটি ম্যাচেও জেতা ছাড়া কিছুই ভাবছেন না বাংলা কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। কোলাপুর থেকে ফোনে ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলছিলেন,”গ্রুপের অন্য দল কটা ম্যাচ জিতছে না হারছে সেই সব অঙ্কে যাচ্ছি না। আমাদের একটাই লক্ষ্য সব ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে যাওয়া। দলের প্রত্যেক ফুটবলাররা খুব ভাল খেলছে। দল ছন্দে আছে। আশাকরি পরের ম্যাচেও ভাল খেলবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারের সন্তোষ ট্রফির ৬ টা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি মূলপর্বে যাবে। একই সঙ্গে এই ৬টি গ্রুপ থেকে বেস্ট অফ থ্রি টিম মূলপর্বে যাওয়ার ছাড়পত্র পাবে। মূলপর্বে সরাসরি খেলার সুযোগ পাচ্ছে রেল ও সার্ভিসেস। আর দিল্লি দল সংগঠক দল হিসেবে সরাসরি মূলপর্বে খেলবে। তবে যেহেতু দিল্লি নিজেদের গ্রুপ থেকে খেলেই কোয়ালিফাই করেছে তাই ওই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল মুলপর্বে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অর্থাৎ এবার মূলপর্বে মোট ১২টা দল খেলবে। এখনও পযর্ন্ত ঠিক আছে দিল্লিতেই সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বের খেলাগুলি হবে। দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হবে দুবাইতে।