ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : সদস্য-সমর্থকদের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হোক এমন কোনও কাজ ইস্টবেঙ্গল কর্তারা করবেন না। ইনভেস্টরের টার্মসিটে সই না করার জন্য এই সদস্য-সমর্থকদের “মৌলিক অধিকার “কে হাতিয়ার করে লড়াই করে যাচ্ছেন ক্লাবের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী। অথচ সেই সদস্য-সমর্থকদের ব্রাত্য রেখে চুক্তিপত্র দেখতে শুধু প্রাক্তন খেলোয়াড়দের ক্লাবে ডাকলেন কর্তারা। প্রাক্তন খেলোয়াড় মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, সম্বরণ ব্যানার্জি, সুকুমার সমাজপতি ও চন্দন ব্যানার্জিকে চুক্তিপত্র দেখে মতামত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এই চার প্রাক্তন ছাড়াও ক্লাবের সকল প্রাক্তনদের (ফুটবল,ক্রিকেট,হকি ও অ্যাথলেটিক্স) কাছে অনুরোধ করা হয়, ক্লাব সম্পর্কিত কোনও মন্তব্য করা বা লেখার আগে যেন চুক্তিপত্র দেখে যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, ইস্টবেঙ্গলের কর্ম সমিতির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মর্মে একটি প্রেস বিঞ্জপ্তিও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এখন প্রশ্ন উঠছে, সদস্য-সভর্থকদের কেন চুক্তিপত্র দেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। শুধু প্রাক্তনদের দেখানোর উদ্দেশ্য কি? যেকোনও ক্লাবে আসল ‘লক্ষ্মী’ হল সদস্য-সমর্থকরাই। তাহলে তাদের ব্রাত্য করে রাখা হবে কেন? সত্যিটা সদস্য-সমর্থকদের সামনে তুলে ধরতে সমস্যা কোথায়?
এদিনের ক্লাব কর্তাদের এই সিদ্ধান্তে খুশি হলেও চুক্তিপত্র দেখার আগ্রহ নেই মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যর। তবে তিনি ক্লাবে যেতে পারেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মঙ্গল কামনা করলেও চুক্তিপত্র দেখতে সুকুমার সমাজপতিও ক্লাবে যেতে নারাজ। তবে সম্বরণ ব্যানার্জি ক্লাবে গিয়ে চুক্তিপত্র দেখবেন বলে জানা গিয়েছে।
আজ, বুধবার বিকেল তিনটের সময় ইস্টবেঙ্গলের বেশ কিছু ফ্যান ক্লাবের সদস্য-সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করবেন। তাদের একটাই দাবি,ইনভেস্টরের পাঠানো চুক্তিপত্রে সই করতে হবে আর দেবব্রত সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। গত দুই মাস ধরে সোসাল ভিডিয়ায় ইস্টবেঙ্গল কর্তা নিতু ওরফে দেবব্রত সরকারের তীব্র সমালোচনা চলছে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একটা বড় অংশ মনে করছে,নিতু সরকারের জন্যই যত গন্ডগোল। নিজের ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয়ে টার্মশিটে সই করছেন না।
এতদিন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে বিপ্লব ছিল। এবার দেবব্রত সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লব আছড়ে পড়তে চলেছে খোদ ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতেই। গত রবিবার সকালে কিছু সমর্থক ক্লাব তাঁবুর প্রধান গেটে বড় বড় করে লিখে গিয়েছে “গো ব্যাক নিতু।” “নিতু আউট।” আবার “সাইন অ্যান্ড রিসাইন” লিখে ফেস্টুন ঝুলিয়ে গিয়েছে। আবার আজ, মঙ্গলবার ক্ষুব্দ সদস্য-সমর্থকদের সামাল দিতে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সমর্থনে হাজির থাকবে বেশ কিছু লাল-হলুদ সদস্য-সমর্থকরাও। ইতিমধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে ক্লাবের বাইরে সিসিটিভি বসানো হয়ে গিয়েছে। ময়দানে ফের উত্তেজনা ফিরে আসছে। কিন্তু ফুটবল ছাড়াই উত্তেজনা।