ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : না। শুক্রবারও সই বিতর্কে জট খুলল না। এবার প্রাক্তন ফুটবলারদের সামনে এনে ফের ঝুলিয়ে রাখলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। শুক্রবার সই করার ব্যাপারে সম্মতি দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার শেষ বারের মতো চেষ্টা করছেন দেবব্রত সরকাররা। গত মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গলের কর্মসমিতির সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করতে চেয়ে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী দেখা করার ব্যাপারে কিছুই জানাননি। এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাই এবার প্রাক্তন ফুটবলারদের সামনে এনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার শেষ বারের মতো চেষ্টা কর্তাদের।
এদিন ৪২ জন ফুটবলারদের বৈঠকে ঠিক হয়, ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেলুক। তাঁদের মতামত জানানো হয় ক্লাব কর্তাদের। কর্ম সমিতিতে ঠিক হয়, ভাস্কর গাঙ্গুলি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, প্রশান্ত ব্যানার্জি সহ ১১ জন প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে নিয়ে একটা কমিটি ঠিক হয়। সেই কমিটি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দুটি শর্ত পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ করবেন প্রাক্তনরা। যেহেতু কর্তাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দেখা করেননি তাই এবার প্রাক্তন ফুটবলারদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রাক্তন ফূটবলার প্রশান্ত ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ। তাই তাঁকেই বেশি করে দায়িত্ব নিতে হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে,শ্রীসিমেন্টের এক প্রতিনিধিকে ফোন করেন প্রশান্ত ব্যানার্জি। তাঁরা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তিপত্রে যা পরিবর্তন করা হয়েছে সেটাই থাকবে। নতুন করে আর কোনও পরিবর্তন করা হবে না। ইনভেস্টর সূত্র থেকে জানা যায়, প্রাক্তন ফুটবলাররা শ্রীসিমেন্টের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সইয়ের আগে প্রাক্তনদের সঙ্গে নতুন করে দেখা করার ইচ্ছে তাদের নেই।
কি এমন হল যে, সই ঝুলিয়ে রাখলেন কর্তারা? এদিন কোনও কর্তা মন্তব্য করতে চাননি। তবে একাধিক প্রাক্তনরা জানালেন, চুক্তির দুটি শর্তে আপত্তি আছে ক্লাবের। প্রথমত, ক্লাব তাঁবু হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে ইনভেস্টর নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চেয়েছে। ক্লাব রাজি নয়। কারণ ক্লাব কর্তাদের মতামত হল, এই ক্লাব তাঁবু সেনাবাহিনীর। তারা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিতে পারেন না।
দ্বিতীয়ত,চুক্তি বিচ্ছেদেও আপত্তি আছে দেবব্রত সরকারদের। তাঁদের দাবি, চুক্তি বিচ্ছেদের সময় দুই তরফের সম্মতি থাকতে হবে। যা চুক্তিপত্রে উল্লেখ নেই। এই দুটি আপত্তি সংশোধন করার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করবেন প্রাক্তনরা।
ক্লাব কর্তাদের এত আপত্তি থাকলেও তাঁদের সই করতেই হবে আর আইএসএলে খেলছেই ইস্টবেঙ্গল। কারণ, গত সোমবার লাল-হলুদ সদস্য-সমর্থকদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেলবে। মুখ্যমন্ত্রী যখন বলে দিয়েছেন তখন দেবব্রত সরকারদের সই করতেই হবে। এখন শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে কতটা বেশি সুবিধা আদায় করতে পারে সেই চেষ্টা করছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।