◆দুরন্ত গোল করার পর সুরঞ্জনার দৌড়। শনিবার কন্যাশ্রী কাপের ফাইনালে, কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ধারে-ভারে ইস্টবেঙ্গল অনেকটাই এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবের দল কোনও অংশে কম ছিল না। বরং শক্তিশালী ইস্টবেঙ্গলকে চাপে তো রেখে ছিলই, ম্যাচটা জিততেও পারত শ্রীভূমি। ৮৭ মিনিটে হঠাৎই হেডে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে কন্যাশ্রী কাপ খেতাব দিলেন সুরঞ্জনা রাউল। শনিবার সন্তোষপুরের কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে কন্যাশ্রী কাপের ফাইনালে শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণের খেলা জমে ওঠে। দুই দলের সমর্থকরাও চিৎকার করে নিজেদের দলের ফুটবলারদের সাহস দিচ্ছিলেন। টান টান উত্তেজনার ফাইনাল ম্যাচের দায়িত্ব ছিল ফিফা এলিট প্যানেলের রেফারি কনিকা বর্মনের হাতে। কিন্তু কনিকার মতো ফিফা রেফারির কয়েকটা ভুল সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত। যে কোনও রেফারির ভুল হতেই পারে। আশা করা যায় ভবিষ্যতে কনিকা আরও সতর্ক হয়েই নির্ভুল ম্যাচ খেলাবেন।
ম্যাচের সেরা ও প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব-১৭ সুরঞ্জনা রাউল। কন্যাশ্রী কাপে ৭ টি ম্যাচ খেলে ২৩ টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন সুরুচি সংঘের সুজাতা মাহাতো। সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হয়েছেন শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবের গুরুবারি মান্ডি।
এদিন কন্যাশ্রী কাপের ফাইনাল ম্যাচে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস,সুজিত বসু ও বীরবাহ হাঁসদা। ছিলেন আইএফএ – এর সভিপতি অজিত ব্যানার্জি, চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সচিব অনির্বান দত্ত প্রমূখ।